চলতি আইএসএলে তিন ম্যাচ খেলেছে
ইস্টবেঙ্গল। যার মধ্যে একটি ম্যাচ ড্র, একটি ম্যাচ জয় এবং একটি ম্যাচে হার হজম করেছে তারা। বিশেষ বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে লাল-হলুদের যোগ্য স্ট্রাইকারের অভাব চোখে পড়েছে। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন কোচ কার্লেস
কুয়াদ্রাত। তাঁর মতে, গোল মিস যে কেউ
করতে পারেন, একটা সময় বার্সেলোনা’র লেওয়নডস্কি’ও একাধিক
সুযোগ নষ্ট করেছেন।
আগামী শনিবার এফসি গোয়া’র মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। ভুবনেশ্বরের
কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ম্যাচটি খেলবেন কুয়াদ্রাতের ছাত্ররা। সেখানে
রওনা দেওয়ার আগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোচ
কুয়াদ্রাত এবং ফুটবলার নাওরেম মহেশ। যেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করলেন তাঁরা।
গত ৪ অক্টোবর বেঙ্গালুরু’র বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে
ম্যাচ খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। বিগত দুই সপ্তাহ ঘরের মাঠে খেলতে না পারার বিষয়ে কুয়াদ্রাত
বললেন,
“সমর্থকদের মিস করছি। ঘরের মাঠে ম্যাচ হলে
গ্যালারিতে ওদের উপস্থিতি আমাদের আলাদা একটা আত্মবিশ্বাস জোগায়। গোয়া’র বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলতে পারলে ভাল হত। তবে এটা ভাল
সিদ্ধান্ত। কারণ, এই ম্যাচটা ঘরের
মাঠে খেললে পরপর তিনটি ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলতে হত।”
Ronaldinho: বঙ্গবাসীর ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত রোনাল্ডিনহো, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ বার্তা ব্রাজিলিয়ান তারকার
ISL 2023: 'রেফারিরা একাধিকবার ভুল করছেন', গোয়া ম্যাচের আগে ক্ষোভপ্রকাশ ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাতের
চলতি আইএসএলে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে
একাধিক নষ্ট করেছেন ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ভাগের ফুটবলাররা। জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ’কে হারালেও তৃতীয় ম্যাচে বেঙ্গালুরু’র একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হয়েছে লাল-হলুদ’কে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন ইস্টবেঙ্গল কোচ। এই
দিন কুয়াদ্রাত বলেছেন, “গোলের সুযোগ নষ্ট
করা কোনও বড় বিষয় নয়। বার্সেলোনার হয়ে খেলেন লেওয়নডস্কি। তাঁর মতো বড় ফুটবলারও
একটা সময় অনেক সুযোগ করেছেন। তাই এই বিষয়টা মাথায় রয়েছে প্রত্যেকেরই। অনুশীলনে এটা
নিয়ে কাজ চলছে। আশা করি আসন্ন ম্যাচে তার প্রতিফলন দেখা যাবে।” বেঙ্গালুরু ম্যাচে রেফারির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোচ।
তিনি বলেছেন, “ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গল’কে যথেষ্ট সম্মান জানানো হচ্ছে না। একাধিকবার রেফারিরা ভুল
করছেন। বেঙ্গালুরু ম্যাচে আমরা পেনাল্টি পেতে পারতাম, কিন্তু রেফারি আমাদের আবেদন খারিজ করলেন। তবে ব্যক্তিগত
ভাবে কারও উপর ক্ষোভ নেই। আশা করি এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।” এই প্রসঙ্গে মহেশ বলেছেন, “সে দিন আমরা নিজেদের ভুলেই হেরেছি। আমাদের অনেক মিস পাস হয়েছে। ওদের পেনাল্টি
দিয়েছি আমরা। দোষ আমাদের অবশ্যই ছিল। রেফারিং নিয়ে কোনও কথা না বলাই ভাল। পরের
ম্যাচে হয়তো আমরা আরও ভাল খেলব, আরও গোল করব।” আসন্ন ম্যাচ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ
উৎসবের কথা ভুলে যাননি ইস্টবেঙ্গলের হেডস্যার।
সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগে প্রত্যেককে দুর্গাপুজোর শারদ
শুভেচ্ছাও জানিয়ে গিয়েছেন তিনি।