কলকাতা ডার্বির ফলাফল এখন অতীত।
আগামী শনিবার ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসি’র
মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান। আইএসএল’এ এই দিনই বড় পরীক্ষা
জুয়ান ফেরান্দো বাহিনীর। কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশার বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া
সবুজ-মেরুন বাহিনী। তবে বড় ম্যাচের আগে ওড়িশা’কে সমীহ করছেন
মোহনবাগান ফুটবলাররা।
আইএসএল-এর গ্রুপ পর্বে ওড়িশা’কে একবার হারিয়েছে মোহনবাগান। প্রথমবার তাদের ঘরের মাঠে
গোলশুন্য ড্র করেছিল তারা। তবে শেষবার নিজেদের ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জেতে জুয়ানের
দলটি। এই জয় আত্মবিশ্বাস জোগাবে বাগান ফুটবলারদের। অন্যদিকে সবুজ মেরুনের চিন্তার
বিষয় গ্লেন মার্টিন্সের চোট। মাঝমাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তাই আসন্ন
ম্যাচে মার্টিন্স খেলতে না পারলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হতে পারে মেরিনার্স’দের। তবে মোহনবাগানের ভরসাযোগ্য জায়গা রক্ষণভাগ। শেষ কয়েকটি ম্যাচে প্রীতম
কোটাল, ব্রেন্ডন হ্যামিল, শুভাশীষ বোস,
আশীষ রাই দারুণ খেলেছেন। আক্রমণের সময় যেমন উপরে উঠেছেন, ঠিক তেমনই প্রয়োজনে রক্ষণ ভাগ সামলেছেন। যাকে ফুটবলের ভাষায় বলে ‘পার্ফেক্ট ট্রানজিশন’।
আরও পড়ুন: Lionel Messi: বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে সতীর্থদের অভিনব উপহার মেসির, খোশমেজাজে কত খরচ করলেন এলএম১০ জেনে নিন
আরও পড়ুন: আত্মঘাতী গোল রিয়েলের! El Clásico'র প্রথম পর্বে হাসি মুখে মাঠ ছাড়ল বার্সেলোনা
মোহনবাগানের মিডফিল্ডাররাও যথেষ্ট
পরিশ্রমী। যা প্লে অফের মতো ম্যাচে জেতার জন্য রশদ জোগাতে পারে। হুগো বুমোস একাই
দাপিয়ে বেরান। অন্যদিকে কার্ল ম্যাকহিউ এবং ফেডেরিকো গালেগো’রাও ধারাবাহিক ভাবে ভাল ফুটবল খেলে এসেছেন। তবে মোহনবাগানের
দুর্বলতা হল যোগ্য গোলদাতার অভাব। ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি হলেও গোল হয় না। যা
বারবার সমস্যায় ফেলেছে সবুজ-মেরুনকে। তবে প্লে অফে নিজেদের সেরাটা দিতে চান বুমোস।
এই নিয়ে তিনি বলেছেন, “ডার্বিতে যেভাবে খেলেছিলাম, শনিবার তার চেয়েও ভাল খেলতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে ওড়িশা এফসি বেশি
শক্তিশালী দল। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। ওরাও সেমি ফাইনালে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
৯০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচ শেষ করতে হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, তবে
আত্মতুষ্ট না।” অন্যদিকে অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলেছেন,
“এটা লিগ নয়, নক-আউটের ম্যাচ। একটা ভুলেই সব
শেষ হয়ে যেতে পারে। ফলে ডার্বির চেয়েও ১০ শতাংশ বেশি দিতে হবে আমাদের। ফলে আমাদের
সতর্ক থাকতে হবে। ওড়িশা শক্তিশালী দল। ওড়িশাকে হারানোর পর সেমি ফাইনাল নিয়ে
ভাবব।” ডার্বিতে প্রথম গোল করা মোহনবাগানের নায়ক স্লাভকো
ড্যামজানোভিচ বলেছেন, “ওড়িশার বিরুদ্ধে না জিতলে ডার্বি
জেতার আনন্দ ফিকে হয়ে যাবে। ওড়িশা শক্তিশালী দল। তবে আমরা ঘরের মাঠে খেলব। ফলে
দর্শক সমর্থন আমাদের দিকে থাকবে। সেটা কাজে লাগিয়ে আমাদের জিততে হবে।”