রাত পোহালেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে মোহনবাগান।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসি’র মুখোমুখি হবে জুয়ান ফেরান্দোর
দল। আসন্ন ম্যাচে খেলবেন না সুনীল ছেত্রী, তা সত্ত্বেও বেঙ্গালুরু’কে হালকা ভাবে নিচ্ছেন
না মোহনবাগান কোচ।
সুনীল ছেত্রী বর্তমানে এশিয়ান গেমস খেলতে চিনে গিয়েছেন।
সেই কারণে বেঙ্গালুরুর আক্রমণ ভাগে কিছুটা হলেও শক্তি কমেছে। বিষয়টি মেনে নিয়ে বেঙ্গালুরু
কোচ সিমন গ্রেসন বলেছেন, “সুনীলের মতো খেলোয়াড় দলে না থাকাটা অনেক বড় ব্যাপার। আপাতত
ওকে বাদ দিয়ে দল নামাতে হবে। ও জাতীয় দলের হয়ে এশিয়ান গেমস খেলতে গিয়েছে।” বেঙ্গালুরু
চলতি বছর তাদের আইএসএল অভিযানের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে চলেছে। প্রথম ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের
বিরুদ্ধে হেরেছে তারা। তবে হারের বিষয়টি উপেক্ষা করে তিনি বলেছেন, “ফুটবলে হার-জিত
থাকে। মোহনবাগান গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন ওদের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই হবে।”
প্রকাশ্যে সন্তোষ ট্রফির গ্রুপ বিন্যাস, বাংলার অবস্থান কোথায় জেনে নিন
Asian Games-এর পুরস্কার মঞ্চে বড়সড় বিতর্ক, ঝামেলায় জড়ালেন দুই পড়শী দেশের ক্রীড়াবিদরা
আইএসএলে প্রথম ম্যাচে অনিরুদ্ধ থাপা ছিলেন না। বেঙ্গালুরু
ম্যাচে ফিরছেন তিনি। অন্যদিকে সুনীল নেই। এই বিষয়টিকে মোটেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না
জুয়ান। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে মোহনবাগান কোচ বলেছেন, “বেঙ্গালুরু কঠিন প্রতিপক্ষ।
এতদিন ধরে যেহেতু সুনীল নেই, তার মানে এটা ধরে নিতে হবে সুনীল’কে ছাড়াই ওরা পরিকল্পনা
তৈরি করেছে। ওকে ছাড়া আক্রমণ কীভাবে করবে, সেই নিয়েও ওরা নিশ্চয় অনুশীলন করেছে। তাই
এই বিষয়টা আমাদের মাথায় রেখেই এগোতে হবে।” এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “ওরা গতবারেও লিগের
শুরুর দিকে কয়েকটা ম্যাচ হেরে গিয়েছিল, তারপর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আইএসএল ফাইনাল
খেলেছে। এটাই ওদের এক রকম খেলার স্ট্রাটেজি হতে পারে।” প্রথম ম্যাচে পঞ্জাব এফসি’কে
হারিয়েছে মোহনবাগান। আই লিগজয়ী দলটির বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে দেখা গিয়েছে কামিন্স, দিমিত্রি’দের।
ছাত্রদের খেলায় কি সন্তুষ্ট জুয়ান? উত্তরে তিনি বললেন, “না, একেবারেই তাই নয়। আমাদের
আরও অনেকটা উন্নতি করতে হবে। কামিন্স-দিমিত্রি’রা পরিকল্পনা মাফিক খেলে। প্রত্যেকটা
ম্যাচে ওদের একই কাজ থাকে না। ভুলে গেলে চলবে না আগের ম্যাচেও একাধিক সুযোগ নষ্ট হয়েছে।
বেঙ্গালুরু’র বিরুদ্ধে এরকমটা হলে, সমস্যায় পড়তে হবে।” অনুশীলনে বেশ খোশমেজাজে দেখা
গেল মনবীর-লিস্টন’দের। কিন্তু জুয়ান ‘গুরুগম্ভীর’ মুখে নিয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে কি যেন একটা দেখছিলেন। হাতে ছিল একটি নোটবুক। ছোট-ছোট পাস খেলার উপর জোর দিচ্ছিলেন তিনি। তবে
কি মাঝমাঠে পাঁচ ফুটবলার সাজিয়ে পাসিং ফুটবলকে অস্ত্র করেই এগোতে চাইছেন মোহনবাগান
কোচ! যদিও উত্তরটা সময়ের উপর নির্ভরশীল।