ভুবনেশ্বরের যে মাঠে ওড়িশা এফসি’কে হারিয়ে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল আগামী বৃহস্পতিবার সেই কলিঙ্গ স্টেডিয়ামেই তাদের বিরুদ্ধে নামার আগে অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে লাল-হলুদ দলকে। এ দিন ডাগআউটে থাকবেন না কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এবং ডিফেন্সে অনুপস্থিত থাকবেন হিজাজি মাহের। তা সত্ত্বেও লিগ টেবলের এক নম্বর দলকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী মশাল বাহিনী।

কার্ড সমস্যার কারণে ওড়িশা ম্যাচে অনুপস্থিত থাকবেন কোচ কুয়াদ্রাত। সেই সঙ্গে হিজাজি মাহেরের মতো তারকার সার্ভিসও পাবে না ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, রয় কৃষ্ণ এবং ডিয়েগো মোরিসিও’রা দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। তাঁদের আটকাতে কী রকম পরিকল্পনা তৈরি করেছে ইস্টবেঙ্গল? আত্মবিশ্বাসের সঙ্গের সহকারি কোচ দিমাস ডেলগাডো বলেন, “প্রধান কোচের না থাকাটা প্রভাব পড়বে না। আমাদের কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক। মরসুমের শুরু থেকে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। সবাই নিজেদের কাজটা জানে। আমরা ছেলেদের বুঝিয়ে দিয়েছি যে কী করতে হবে। ওরাও সব জানে। তাই আমাদের কাছে চিন্তার কিছু নেই।” বড় দলগুলির বিরুদ্ধে বরাবরই ভাল পারফরম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে লাল-হলুদ’কে। সেই কথা মনে করিয়ে দিমাস বলেছেন, “বড় দলের বিরুদ্ধে বরাবরই আমরা ভাল খেলেছি। নিজেদের জাত চেনানোর চেষ্টা করেছি। আমরা চোখে চোখ রেখে লড়াই করি। আগে ওদের বিরুদ্ধে যেমন লড়াই হয়েছে, এ বারও সে রকম লড়াই আশা করছি।”

ISL 2023-24: আত্মবিশ্বাসে ফুটছে লাল-হলুদ শিবির, ওড়িশা’র বিরুদ্ধে নামার আগে বড়সড় মন্তব্য নন্দ কুমারের

ISL 2023-24: ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের বিশেষ উপহার ম্যানেজমেন্টের

এ দিকে, ওড়িশা’র কোচ লোবেরা ইস্টবেঙ্গল’কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। নাম না করে কার্লেস কুয়াদ্রাত’কে তিনি বলেছেন, “প্রায় প্রত্যেকটা ম্যাচের পরেই একাধিক অভিযোগ তুলে রেফারির উপর চাপ বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। এটা ঠিক নয়, কারণ ফাইনালে রেফারির একটা বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জেরে ১২ বছর ওই ট্রফিটা জিতেছে ওরা।”

ইস্টবেঙ্গলে আশার আগে ওড়িশা’র হয়ে দীর্ঘ দিন খেলেছেন নন্দ কুমার। সার্জিও লোবেরা’র দলের ফুটবলারদের হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার আগে নেটমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সুপার কাপ ফাইনালের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে পড়শি রাজ্যের দলটি। বৃহস্পতিবার মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার লক্ষ্যে নামবেন রয় কৃষ্ণ’রা। তাই এ দিন জয় তুলে নেওয়া সহজ হবে না ইস্টবেঙ্গলের। যদিও এ সব বিষয় নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন সহকারি কোচ দিমাস। তিনি বলেছেন, “আমরা নিজেদের নিয়ে ভাবছি। ওদের কথা কেন ভাবতে যাব? আমরা নিজেদের ফুটবলারদের নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। সেরা মানসিকতা এবং শারীরিক দক্ষতা নিয়ে যাতে নামতে পারি সেটাই চেষ্টা করছি। ওদেরও উচিত আমাদের ভয় পাওয়া। আমাদের হাতে কী অস্ত্র রয়েছে সেটা ওদের দেখিয়ে দিয়েছি আগেই। আপাতত ওদের হারিয়ে তিন পয়েন্ট পাওয়ারই চেষ্টা করছি।” এ দিন দিমাসের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন তরুণ ফুটবলার সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনিয়রদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেয়ে অনেক কিছু শিখতে পারছেন তিনি। তা মেনে নিয়ে সায়ন বললেন, “সিনিয়র দলে খেলতে পেরে আমি খুব খুশি। আমার উপরে আস্থা রাখার জন্য কোচেদের ধন্যবাদ। নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছি। সিনিয়রদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি।” উল্লেখ্য, বর্তমানে লিগ টেবলের অষ্টম স্থানে ইস্টবেঙ্গল। ১৬ ম্যাচ খেলে তাদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে, টেবলের এক নম্বরে থাকা ওড়িশার পয়েন্ট ১৬ ম্যাচে ৩২।