ডার্বি'তে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বর্তমানে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল লিগ টেবলের নবম স্থানে রয়েছে লাল-হলুদ দল। তাই টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার জন্য আসন্ন প্রত্যেকটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে তাদের। সেই কারণে নক আউটে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে অলআউট ঝাঁপাতে চাইছে মশাল বাহিনী।
আগামী ৬ মার্চ (বুধবার) এফসি গোয়া'র মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। চলতি মরসুমে আইএসএল-এর দ্বিতীয় ডার্বির আগে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে লাল-হলুদের। আসন্ন ম্যাচে গোয়া'কে হারাতে পারলে পয়েন্ট টেবলে কিছুটা উপরের দিকে যেতে পারেন কুয়াদ্রাত'রা। তাই আসন্ন প্রত্যেকটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ ইস্টবেঙ্গলের জন্য, এমনটা মেনে নিয়েছেন কোচ কার্লেস'ও। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসে তিনি বলেছেন, "ম্যাচই এখন জিততে হবে আমাদের। ১৫ পয়েন্টের জন্যই ঝাঁপাতে হবে। ছেলেদের চোট আঘাতের সম্ভাবনা থাকলেও এখন কিছু করার নেই। ঝুঁকি নিতেই হবে। তাদের সুরক্ষিত রাখার আর পথ নেই।"
গোয়ার বিরুদ্ধে প্ৰায় পূর্ণ শক্তির দল পেতে চলেছেন কোচ কুয়াদ্রাত। কার্ড সমস্যা মিটে গিয়েছে হিজাজি মাহেরের। তাই গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে থাকতে পারেন ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের অন্যতম সেরা প্রহরী। অন্যদিকে, সাউল ক্রেসপো'ও অনেকটাই সুস্থ। তাই গোয়ার বিরুদ্ধে দলের ৬ বিদেশিকে পেতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। এমনকি কোচ কার্লেসও কার্ড সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁকে আসন্ন ম্যাচে লাল-হলুদের ডাগআউটে দেখা যাবে। যদিও নন্দ কুমার গোয়ার বিরুদ্ধে শুরু থেকে খেলবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তিনি সোমবার মূল দলের ফুটবলারদের সঙ্গে শুরু থেকে অনুশীলন করেননি। তাই গোয়া'র বিরুদ্ধে তাঁকে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবহার করতে পারেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ হেড স্যার।
গোয়া ম্যাচের পরেই মোহনবাগানের মুখোমুখি হওয়ার কথা ইস্টবেঙ্গলের। যা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ১০ মার্চ হওয়ার কথা থাকলেও সেই দিন কলকাতায় ডার্বি হবে না বলে জানা গিয়েছে। গত ডার্বি'তে হার হজম করেছে লাল-হলুদ। তাই এবার মেরিনার্সদের হারাতে মুখিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এ দিন কোচ বলেন, "যুবভারতীতে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে ডার্বি খেলতে পারলে ভাল লাগবে। ভারতীয় ফুটবলের জন্যও সেটা কিন্তু ভালো বিজ্ঞাপন। জানি না কোথায় খেলতে হবে। তবে এফএসডিএল যে সিদ্ধান্তই নিক, সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে।"