জয়ের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল মোহনবাগানের। ডার্বি'র পর বুধবার কেরল ব্লাস্টার্স'কে তাদের ঘরের মাঠেই ৪-৩ গোলে হারিয়ে দিলেন শুভাশিস বসু'রা। এ দিন প্রতিপক্ষের ডেরায় এক গোলে জেতার সুবাদে লিগ টেবলের দ্বিতীয় স্থানে থাকল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। চলতি আইএসএল-এর ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট সংগ্ৰহ করেছেন আন্তনিও লোপেজ হাবাস'রা।
রবিবার যুবভারতীতে ডার্বি জয়ের পর হাতে মাত্র দুই দিন সময় ছিল মোহনবাগানের। তার মধ্যেই অনুশীলন এবং কেরল রওনা দিতে হয় তাদের। তাই প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ছাত্রদের ক্লান্তির কথা উল্লেখ করতে ভোলেননি মোহনবাগান কোচ হাবাস। কিন্তু সাত গোলের এই ম্যাচে বিন্দুমাত্র ক্লান্ত মনে হল না গোটা দলকে।
ম্যাচ শুরুর চতুর্থ মিনিটেই আর্মান্দো সাদিকু কেরল'কে পিছনে ঠেলে দেন। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে কেরলের দুই ডিফেন্ডারকে কাটানোর পর শট মেরে বলটিকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেন সাদিকু(১-০)। প্রথমার্ধে তাঁর একমাত্র গোলেই এগিয়ে ছিল বাগান বাহিনী। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে কেরল। ৫৪ মিনিটের মাথায় বক্সের সামনে থেকে ঠান্ডা মাথায় একটি শট মেরেই সাফল্য পান ভিবিন(১-১)।
৬০ মিনিটে ফের একবার সাদিকু'র দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে দিমিত্রি পেত্রাতোস হেড করার জন্য সেট পিস সাজিয়ে দেন মনবীর সিং'কে কিন্তু তিনি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে বলটিকে বাড়িয়ে দেন সাদিকুর দিকে। তিনি বলটিকে বুকে রিসিভ করার পর ডান পায়ে সাইড ভালি মেরে গোল করেন(২-১)। যদিও এই লিড বেশিক্ষণ থাকেনি। ৬৩ মিনিটে দিয়ামানতাকোসের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরে(২-২)। দ্বিতীয়বার সমতা ফেরার পর নড়েচড়ে বসে মোহনবাগান। রক্ষণশীল ফুটবলের জায়গায় মাঠের দুই প্রান্ত ব্যবহার করে সঙ্গবদ্ধ ফুটবল খেলেন হাবাসের ছাত্ররা। ৬৮ মিনিটে সবুজ-মেরুন'কে এগিয়ে দেন দীপক টাংরী। দিমিত্রির কর্নারে হেড করে গোল দেন মোহনবাগান মিডিও(৩-২)।
নির্ধারিত সময়ের পর সংযোজিত সময়ে (৯০+৭মিনিট) গোল করেন জেসন কামিন্স। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের সেভ করা বল মাঠে ফিরে আসার পর বাঁ পায়ে শট মেরে সেটিকে জালে জড়িয়ে দেন অজি বিশ্বকাপার(৪-২)। দুই গোলের লিড নেওয়ার পর বাগানের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এ দিন শেষ মুহূর্তেও চমক দেখায় কেরল। একেবারে শেষ মিনিটে দিয়ামানতাকোস গোল করে ব্যবধান কমান(৪-৩)। এই দিন কেরলের মাঠে জয়ের ফলে ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট পেয়ে গেল মোহনবাগান। ১৯ ম্যাচ খেলে একই সংখ্যক পয়েন্ট সংগ্ৰহ করেছে মুম্বই সিটি এফসি। কিন্তু গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে তারা।