জেতা ম্যাচ জামশেদপুরে ফেলে আসল ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্সে দু’টি ছোট ভুল নিশ্চিত তিন পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত করল লাল-হলুদকে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রয়েছে একাধিক গোল নষ্টের বহর। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গলের কাছে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেরা ছয়ে থাকার জন্য। লিগ টেবিল অনুযায়ী ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ছয় নম্বর পজিশনের জন্য লড়াইয়ে রয়েছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড, চেন্নাইয়িন এফসি এবং জামশেদপুর। ফলে এই ম্যাচে স্টিল সিটির দলকে হারাতে পারলে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীকে অনেকটা পিছনে ফেলার পাশাপাশি নিজেদের অবস্থানও মজবুত করত লাল-হলুদ।

কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা জয়ের লক্ষ্যেই ঝাঁপিয়েছিল। শুরুর দিকে কিছুটা এলোমেলো দেখালেও ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই নিজেদের মেলে ধরেছে লাল-হলুদ। ৪৫ মিনিটে নিশু কুমারের ক্রস ধরে জামশেদপুরের গোলরক্ষক রেহেনেশ টিপি-কে পরাস্থ করে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন নন্দ কুমার। ব্রেকের ঠিক আগেই গোল পেয়ে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের রাশ নিজেদের অধীনে রেখেছিল। প্রতিআক্রমণে দুই বার জামশেদপুর ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেও প্রভসুখন গিল ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান। পরিকল্পনামাফিক চলছিল সব কিছু, ম্যাচের মধ্যে ছন্দপতন ঘটে আকস্মিক। ৮১ মিনিটে ডিফেন্সের মাঝখান দিয়ে তাচিকাওয়ার হেড প্রথম পোস্টের ধার ঘেষে প্রবেশ করে জালে। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার পর খালিদ জামিলের দলে ঘরের মাঠে জয়সূচক গোলের খোঁজে তুলে আনতে থাকে আক্রমণ। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে মহম্মদ রাফিক ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় জামশেদপুর। ৭ মিনিট অ্যাডেড টাইমের শেষ মিনিটে এত ভাল জায়গা থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক বিফলে যেতে দেননি জামশেদপুরের অধিনায়ক। তাঁর ফ্রি-কিক সরাসরি আশ্রয় নেয় জালে, প্রভসুখনের কিছু করার ছিল না এই ক্ষেত্রে।

এই দুইটি গোলের আগে দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। একটি ক্ষেত্রে পোস্টে লেগে বল ফিরে আসে। ক্লেটন সিলভার একটি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়ে বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে অভিষেক করা ডিফেন্ডার আলেক্সজান্ডার প্যান্টিচের হেড দারুণ দক্ষতায় সেভ দেয় জামশেদপুরের রক্ষণ। ইস্টবেঙ্গল পরাজিত হলেও প্রথম ম্যাচ অনুযায়ী নতুন পরিবেশে, নতুন সতীর্থদের সঙ্গে ভালই খেলেছেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার। অল্প কয়েক দিনে বাকিদের সঙ্গে ভালই বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে তাঁর।