জঘন্য রেফারিং এবং ভুরিভুরি গোল মিসের বহরে মরসুমের প্রথম হারের সম্মুখীন হতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। বাগিচা শহরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে ১-২ গোলে পরাজিত হল ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমারের পাস থেকে মহেশ সিং গোল করে ১৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু ডিফেন্সের ব্যর্থতায় পেনাল্টি হজম করে লিড ধরে রাখার কাজ দক্ষতার সঙ্গে করতে ব্যর্থ হয় লাল-হলুদ। সুনীল ছেত্রী ২১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে বেঙ্গালুরুকে সমতায় ফেরান। হারের হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা বেঙ্গালুরু এফসিকে প্রথম জয়ের স্বাদ দিয়ে তাদের হয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন জেভিয়ার হার্নান্ডেজ। রোহিত দানুর পাস থেকে আসে এই গোল।
বেঙ্গালুরু জিতলেও তার নেপথ্যে তাদের ফুটবলারদের থেকে অনেশ বেশি ‘অবদান’ রয়েছে রেফারির। এই ম্যাচে বক্সের মধ্যে বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা দু’বার নিশ্চিত হ্যান্ড বল করলেও তা থেকে পেনাল্টি দেননি ইস্টবেঙ্গলকে। এমনকী বিশ্রি ফাউল করলেও সুনীল ছেত্রীর দল বেঁচে গিয়েছে রেফারির নজর থেকে। রেফারির মান যে ভাবে দিনের পর দিন তলানিতে যাচ্ছে তাতে আগামী দিনে পাড়ার ফুটবলের রেফারিং দেখতে পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এদের আদৌ কোনও ফুটবলজ্ঞান রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার অগুণিত অবকাশ রয়েছে। রেফারির নামে অপদার্থদের দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করলে এ দেশে ফুটবলের উন্নতি যে এক চুল হবে না, তা সহজবোধ্য। তবুও ফুটবলের উন্নতি করার কথা বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন ভাবে বলে বেড়ানো এআইএফএফ-এর অদক্ষ কর্তাদের নজরে এগুলি পড়ে না।
রেফারিং-এর পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের একাধিক গোলনষ্টের বহর হাজার হাজার মাঠমুখো সমর্থককে হাসি মুখে মাঠছাড়তে দেয়নি। নন্দকুমার, হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা একের পর এক যা সহজ সুযোগ হেলায় নষ্ট করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য।