একটি পরিবর্তন করেই কার্যত মরসুমের প্রথম জয়ের স্বাদ পেল ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচে জামশেদপুর এফসি'র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল লাল-হলুদ'কে। তবে শনিবার হায়দরাবাদ এফসি'র বিরুদ্ধে চলতি আইএসএলের প্রথম জয়ের মুখ দেখল কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা'র জোড়া গোলে হার হজম করল হায়দরাবাদ।
গত ম্যাচে শুরু থেকে ক্লেইটন'কে খেলানো হয়নি। তবে সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল, তা এই দিন প্রমান করে দিলেন তিনি। প্রথমার্ধে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। অষ্টম মিনিটে বক্সের ভিতর ঢুকে জো নোলেস একটি শট মারেন। যা ডিফেন্ডারদের পায়ে লেগে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা হিতেশ শর্মা বলটি পেয়ে যান। বক্সের দুই হাত দূর থেকে কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই বলটিকে গোলে ঠেলে দেন তরুণ ফুটবলার(০-১)। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক ক্লেইটন। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো লং পাস ধরে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে ডজ করতে গিয়ে পড়ে যান বোরহা হেরেরা, জরাজড়ির মধ্যে বলটি চলে আসে ক্লেইটনের কাছে। এই মোক্ষম সুযোগ পেয়ে কোনও ভুল করেননি ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাড়াহুড়ো না বলটিকে গোলরক্ষকের মাথায় উপর দিয়ে চিপ করে জালে প্রবেশ করান তিনি। এই সুবাদে ১-১ গোলের ফলাফল নিয়ে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
এই দিন পাসিং ফুটবলকে অস্ত্র করে ইস্টবেঙ্গল'কে হারানোর পরিকল্পনা করেছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোলরক্ষক লক্ষ্মীকান্ত কাট্টিমানি'র চোট মানসিক ভাবে কিছুটা পিছিয়ে দেয় হায়দরাবাদ'কে। প্রথমার্ধে মন্দারের ক্রসে পা ঠেকিয়ে গোল করতে গিয়ে মিস করেন ক্লেইটন। নিজের গতি ধরে রাখতে না পেরে কাট্টিমানি'কে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সেই সময় ক্লেইটনের হাঁটু তাঁর মুখে লাগে। মাঠেই বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা চলে হায়দরাবাদ গোলরক্ষকের। তাঁর মুখের বাম দিকটা বেশ খানিকটা ফুলে যায়। তাই পরিবর্তন করে নেওয়া হয় তাঁকে। চোট গুরুতর হওয়ার কারণে দ্রুত আম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কাট্টিমানি'কে।
দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত গোল করলেন ক্লেইটন। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের মারা বক্সের সামনে থেকে ডান পায়ের ইন-সুইং শট আটকাতে ব্যর্থ হন কাট্টিমানির পরিবর্ত গোলরক্ষক অনুজ কুমার। এই গোলের সুবাদে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি হায়দরাবাদ। এই সুবাদে ২-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে লাল-হলুদ।