টানা আটটি কলকাতা ডার্বিতে হার হজম করল ইস্টবেঙ্গল। শনিবার আইএসএল গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে এটিকে মোহনবাগান'কে হারাতে পারল না স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দলটি। এই দিন হারের পর রক্ষণভাগের ফুটবলারদের উপর দোষ চাপালেন ইস্টবেঙ্গলের ব্রিটিশ কোচ।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই দিন কলকাতা ডার্বির সেই আমেজ পাওয়া যায়নি। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির বেশ কিছু অংশ ফাঁকা ছিল ৯০ মিনিট। অর্থাৎ সমর্থকদের ডার্বি বয়কটের ডাক আংশিক সফল! এই দিন ৬৮ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণদুর্গ ভেঙে যায়। ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন স্লাভকো ড্যামজানোভিচ। শেষ লগ্নে(৯০মিনিট) ব্যবধান দ্বিগুন করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সল্টলেক স্টেডিয়ামে এইদিন হারের পর কিছুটা হলেও নিরাশ দেখাল কোচ স্টিফেনকে। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে কোচ বলেন, "দলের খেলা খারাপ হয়নি। প্রথমার্ধে ভাল খেলেছি আমরা। দ্বিতীয়ার্ধেও ভাল ফুটবল খেলা হচ্ছিল। কিন্তু ডিফেন্সে সামান্য কিছু ভুলের কারণে গোল খেতে হয়েছে। ক্লেটন যথেষ্ট ভাল ফুটবল খেলেছে। পরিশ্রম করেছে। গোলের সুযোগ তৈরি করেছে। মহেশও ভাল খেলেছে। ওদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।"
দ্বিতীয়ার্ধে একটি পেনাল্টির সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু রেফারি ফুটবলারদের আবেদনে সাড়া দেননি। এই প্রসঙ্গে স্টিফেন বলেছেন, "রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না। অনেকেরই মনে হয়েছিল ওটা পেনাল্টি। কিন্তু পেনাল্টি দেওয়া হয়নি এটা দুর্ভাগ্যজনক।" আইএসএল যাত্রা এবারের মতো শেষ ইস্টবেঙ্গলের। লিগ টেবলের দশ নম্বরে শেষ করল লাল-হলুদ। ২০ ম্যাচের মধ্যে ১৩টি ম্যাচেই হারল ইস্টবেঙ্গল। এর থেকে কী শিক্ষা নিলেন স্টিফেন? উত্তরে কোচ বললেন, "আইএসএল-এর প্রত্যেকটা দলই ভাল। প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। সবসময় যেটা ভাবা হয় সেটা হয় না। আমাদের আরও প্রস্তুতি নিতে হবে। সুপার কাপে ভাল ফল করার চেষ্টা করব। আমরা দল গঠন করতে কিছুটা দেরি করে ফেলেছি। বেশ কিছু ভারতীয় খেলোয়াড় কেনা আমার টার্গেট ছিল। যা পূরণ করতে পারিনি। অনেকেই ভেবেছিলেন আমাদের হাতে অনেক সময় রয়েছে, কিন্তু আদপে সেটা নয়। প্রি-সিজনের পর পরই দল গড়ে নেওয়া দরকার ছিল।" এরই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, "একটা ভাল বিষয় লক্ষ্য করলাম। আগের থেকে দল অনেক উন্নতি করেছে। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ডিফেন্ডাররাও ভাল খেলেছে।"