বিশ্বকাপ খেলতে এসেও সরকার বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে বিরাট পদক্ষেপ নিলেন ইরানের ফুটবলাররা। সোমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপে অভিযান শুরু করল ইরান। এই দিন ম্যাচের আগেই নিজেদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন না ইরানের ফুটবলাররা। জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় মুখ রেখেছিলেন তাঁরা। একই সঙ্গে স্টেডিয়ামে উপস্থিত বেশ কিছু সমর্থকও মুখ বন্ধ রেখেছিলেন।
এই দিন ম্যাচ শুরুর আগেই ইরানের অধিনায়ক আলিরেজা জাহানবকশ জানিয়েদেন, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে কি না সেটা দলের সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। অনেকেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিরুদ্ধে সুর তোলেন। তাই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন না তাঁরা। মাস দুয়েক আগে মহিলাদের বাধ্যতামূলক পোশাকের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সে দেশের নীতিপুলিশের হেফাজতে যেতে হয় মাহশা আমিনিকে। জেলে যাওয়ার দিন তিনেক পর মৃত্যু হয় তাঁর। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে ইরান। প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে গোটা দেশে।
বিশ্বকাপ শুরুর কিছু দিন আগে ইরানের বিখ্যাত শেফ মেহরশাদ শাহিদিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে ইরানের নীতিপুলিশের উপর। হিজাব-বিরোধী আন্দোলনে পথে নেমেছিলেন শাহিদি। তখনই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে হেফাজতে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। শাহিদির শেষকৃত্যের সময় প্রতিবাদে পথে নামেন হাজার হাজার ইরানি নাগরিক। কিন্তু এতকিছুর পরেও নিয়মে বদল আনেনি ইরান সরকার। তাই বাধ্য হয়ে সে দেশের বেশ কিছু আথলিট জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।