রাত পোহালেই বিশ্বকাপ ফাইনালের দামামা বেজে উঠবে।
বিশ্ব ক্রিকেটের মহাযজ্ঞে সামিল হবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। রবিবার আহমেদাবাদে রুদ্ধশ্বাস
এই ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে মগ্ন যুযুধান দুই শিবির। বিগত ৪০ বছরে চতুর্থবারের
মতো ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে চলেছে ভারত। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচের
আগে কী কী নিয়ে মুখ খুললেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা?
সাম্প্রতিক ম্যাচগুলিতে দলের ফলাফল এবং অতীত ঘেঁটে
দেখলে সমর্থকদের মনে একাধিক প্রশ্ন উঠতে পারে। ২০১১ সালে শেষ ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল
ভারত। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি’র হাত ধরে আয়োজক দেশ হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বচ্যাম্পিয়নও
হয়েছিল এই দেশ। চলতি বছর একক ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে ভারত। ২০১১’র মতো কি এবারও
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে টিম ইন্ডিয়া? ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই বিশ্বকাপের
ফাইনাল খেলেছিল ভারত। সে বার অজিদের বিরুদ্ধে হারের কারণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়’রা। ২০ বছর আগের সেই ম্যাচের বদলা কি নিতে পারবেন রোহিত’রা? এখানেই
শেষ নয়, ২০১৩ সালের পর থেকে আইসিসি আয়োজিত কোনও প্রতিযোগিতা জিততে পারেনি ‘মেইন ইন
ব্লু’। বিগত ১০ বছরে ভারতীয় দলে একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। বদলে গিয়েছে অধিনায়ক, উন্নত
হয়েছে থেকে ব্যাটিং-বোলিং থেকে শুরু করে ফিল্ডিং- এক দশক ধরে সমর্থকদের অপেক্ষার প্রহর
গোনা কি এবার শেষ হবে? রবিবার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন চোখে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে ১৪০ কোটি
মানুষ।
ICC ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপ ফাইনাল ঘিরে কোনও উত্তাপ নেই মোদি'র শহরে, শীতঘুম দিল নাকি আহমেদাবাদ?
ICC ODI World Cup 2023: ১৯৭৫ থেকে ২০২৩- বিশ্বকাপ আয়োজক এবং বিজয়ী দলগুলি এক নজরে দেখে নিন
ফাইনালের আগে আহমেদাবাদের পিচ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি
হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, আইসিসি নির্ধারিত পিচে খেলতে না চেয়ে ভারত বিশ্বকাপ আয়োজক
দেশ হিসেবে সুবিধা নেওয়া হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের পিচ মূলত স্পিন সহায়ক। স্পিনারদের
বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্বলতা নতুন নয়। অতীতে একাধিকবার স্পিন বোলিংয়ের সামনে
আত্মসমর্পণ করতে দেখা গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া’কে। যদিও মেগা ফাইনালের আগে সাংবাদিক বৈঠকে
উপস্থিত হয়ে অধিনায়ক রোহিত বলেছেন, “বিপক্ষকে নিয়ে বিশেষ চিন্তা-ভাবনা করছি না। আমাদের
কী রকম পরিস্থিতিতে কোন কাজগুলি করতে হবে, সেটা নিয়েই ভাবা হচ্ছে।” ফাইনালের আগে ভারতীয়
দলের অন্দরমহলের পরিবেশ কেমন? উত্তরে রোহিত বললেন, “শনিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন ছিল। যে
যার মতো সময় কাটাতে পারে। সাজঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা। বড় ম্যাচের আগে প্রত্যেকে নিজের মতো
করে সময় কাটাচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “মাঠের বাইরের পরিবেশটা কেমন সেটা দলের প্রত্যেকেই
জানে। তবে ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে চাপ নিতেই হবে। এটা এতদিনে প্রায় প্রত্যেকেরই অভ্যাস
হয়ে গিয়েছে। সমালোচনা যেমন হয়, তেমনই প্রশংসাও করা হয়।”
রবিবার আহমেদাবাদে শিশির পড়লে পিচের চরিত্র বদলে যেতে
পারে। সেই নিয়ে কী পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের? জবাবে রোহিত বলেছেন, “শিশির পড়তেই পারে।
সেই রকম ভাবেই আমরা অনুশীলন করেছি। পাকিস্তান ম্যাচের আগে শিশির পড়া কন্ডিশনে ব্যাটিং
প্র্যাকটিস করেছিলাম। কিন্তু খেলার সময় শিশির পড়েনি। আবার এদিকে ওয়াংখেড়ে’তে নামার
আগে শিশির পড়তে পারে ভেবে ব্যাটিং করা হচ্ছিল। কিন্তু প্রত্যাশা মতো শিশির পড়েনি। তাই
টস জেতা বড় বিষয় নয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে।”