ভারতে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে প্রতিভা তুলে আনার উদ্যোগ নিয়েছে লা লিগা। আমদানি করা হয়েছে ‘ফুটবল ডেভলপমেন্ট প্ল্যান’। যার মূল উদ্দেশ্য হল, এ দেশের তরুণ, সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের, নিজ-পদ্ধতিতে তালিম দেওয়া। ট্রেনিং করানো। ঠিক যে পদ্ধতি অনুসরণ করে বিশ্ব ফুটবলকে তারা অঢেল ফুটবল-প্রতিভার সন্ধান দিয়েছে। যে ফুটবলাররা পরবর্তী সময়ে দাপিয়ে বেরিয়েছেন বিশ্বমঞ্চে। আর পুরো প্রকল্পই লা লিগার ‘গ্লোবাল টেকনিক্যাল ডিরেক্টর’ ও তাঁর টিমের মস্তিষ্কপ্রসূত।
ভবানীপুর এফসি প্রোইন্ডিয়া সেন্টার অফ এক্সেলেন্স তিনটে বিষয়ে মন দিচ্ছে। তিনটে কাজ করছে।
এক) লা লিগা একাডেমি প্রদত্ত ফুটবল-পাঠ্যক্রম এএফসি ও লা লিগার অনুমোদিত কোচদের হাতে তুলে দেওয়া।
দুই) ‘স্টেপ আউট এনালিটিক্স’-কে নিযুক্ত করা। বেঙ্গালুরু-জাত যে সংস্থা আই লিগের বিভিন্ন পেশাদার টিমের দেখভাল করে, তাদের ম্যানেজ করে। তৃণমূল স্তর থেকে যুব পর্যায় পর্যন্ত ফুটবল অ্যানালিটিক্সের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে এই সংস্থা। কোথায় কী করতে হবে, কী করা দরকার, ধাপে-ধাপে সমস্ত পর্যবেক্ষণ করে তা শেষ পর্যন্ত তারা তুলে দেবে কোচ আর স্কাউটদের হাতে। ভারতীয় ফুটবলের সার্বিক উন্নতিকে মাথায় রেখে।
তিন) পেশাদারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা। যারা কি না দেশজুড়ে অ্যাকাডেমি ম্যাচ, এআইএফএফ ‘ব্লু কাবস’ ও প্র্যাকটিস সেশন সম্প্রচার করবে। উদীয়মান প্রতিভাদের কাছে যা নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শনের একটা মঞ্চ হবে।
অনুষ্ঠানে লা লিগা একাডেমি ফুটবল স্কুলের ডিরেক্টর মিগুয়েল কাসাল বলেন, "লা লিগা একাডেমি ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি খুশি। এই দেশে আমাদের প্রচুর প্রোগ্রাম রয়েছে। আমরা তৃণমূল স্তরে বেশি করে জোর দিচ্ছি কারণ আমরা চাই লা লিগার ফুটবল পদ্ধতির সঙ্গে বেশি সংখ্যক কিশোর সহজাত হোক। সে ভাবে খেলুক। আমরা তাদের আমাদের ঘরানা অনুযায়ী ফুটবল খেলাতে ও শেখাতে চাই। ভারতবর্ষের অন্যতম ফুটবলপ্রেমী শহরের নাম কলকাতা। তাই এই শহরকে নির্বাচন করতে আমাদের বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি।"