লিগ শিল্ড জয়ের আশা প্রবল ভাবে বাঁচিয়ে রাখল মোহনবাগান। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচে ৪-০ গোলে জয় তুলে নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হারের পর পরবর্তী দুই ম্যাচে লিগ শিল্ড জেতার জন্য জয় প্রয়োজন ছিল সবুজ-মেরুনের। যার মধ্যে একটিতে সহজ জয় তুলে নিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব।
কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে হেক্টর ইউসতের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর কাছে। বক্সের মধ্যে আনোয়ার আলি ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সুনীল ছেত্রীর দল। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক। পোস্টে মারেন স্পটকিক। ফলে লিড নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে সমস্যা হয়নি বাগানের।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠে বাগানের আক্রমণভাগ। দ্বিতীরার্ধের প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল তুলে নেয় গঙ্গাপারের ক্লাব। জনি কাউকোর পাস থেকে ৫১ মিনিটে মোহনবাগানকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন মনবীর সিং। তিন মিনিটের মাথায় বাগানের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন অনিরুদ্ধ থাপা। দিমিত্রি পেত্রাতোস গোলের পাসটি বাড়ান। ৫৯ মিনিটে চতুর্থ গোলটি পায় মোহনবাগান। মনবীর সিং-এর পরিবর্তে নামা আর্মান্ডো সাদিকু মোহনবাগানের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। এই জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট দাঁড়াল ৪৫। লিগ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও শেষ ম্যাচ জিতে শিল্ড জেতার সুযোগ রয়েছে কলকাতার ক্লাবের। শীর্ষে ২১ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। মোহনবাগানের পরের ম্যাচ লিগ টপারদের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে মোহনবাগান জয় তুলে নিতে পারলেই শীর্ষে পৌঁছে লিগ শিল্ড জিতে নেবে অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।
চেন্নাইয়িন ম্যাচের পর বাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু জানিয়েছিলেন, পরবর্তী দুই ম্যাচ জিতে তাঁরা শিল্ড জেতার বিষয়ে আশাবাদী। বাগান অধিনায়ক শেষ দুই ম্যাচের মধ্যে একটিতে জিতেছেন, তাঁর দলের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ মুম্বই ম্যাচ জিতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানো।