ওড়িশা এফসি'র বিরুদ্ধে প্রথম লেগে লজ্জার হার হজম করল মোহনবাগান। মঙ্গলবার রয় কৃষ্ণ'দের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ফলাফল নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল সবুজ-মেরুন'কে। এ দিন মূলত ডিফেন্ডারদের ভুলে ওড়িশার বিপক্ষে হতাশাজনক ফলাফল মেনে নিতে হল হাবাস বাহিনী'কে। আগামী ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় লেগ হবে। নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের সেটাই শেষ সুযোগ মোহনবাগানের।
প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে খেলার শুরুটা ভাল করলেও ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ছন্দ হারাতে থাকে মোহনবাগান। ৩-২-৪-১ ফর্মেশনে হাবাসের সাজানো দলকে কার্যত কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে ওড়িশা এফসি। এ দিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। দিমিত্রি পেত্রাতোসের কর্নার শটে মাথা ছুঁইয়ে বলটিকে জালে প্রবেশ করান মনবীর সিং(১-০)। তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি হাবাসের দল। ১১ মিনিটের মাথায় আহমেদ জাহু'র একটি কর্নার কিক ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ওড়িশার হয়ে সমতা ফেরান কার্লোস ডেলগাডো(১-১)।
ম্যাচটি ড্র হয়ে যাওয়ার পর দুই দলই একে অপরের চোখে চোখ রেখে লড়াই করছিল। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগে মেরিনার্সদের বড় ধাক্কা দেন হাবাসেরই প্রাক্তন ছাত্র রয় কৃষ্ণ। ওড়িশার হাফ থেকে ভেসে আসা একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে মিস কিক করে ফেলেন হেক্টর ইউস্তে, সেটাই কাজে লাগান সুযোগসন্ধানি ফিজির স্ট্রাইকার। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল কাইথকে বোকা বানিয়ে মোহনবাগান'কে এক গোলে পিছিয়ে দেন রয় কৃষ্ণ। এই সুবাদে প্রথমার্ধের শেষে ম্যাচের ফলাফল হয়ে যায় ২-১ গোলের।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেন আর্মান্দো সাদিকু'রা। কিন্তু ৬৭ মিনিটের মাথায় তাঁর একটি কাজের খেসারত দিতে হয় গোটা দলকে। প্রথমার্ধে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন কিন্তু তা সত্ত্বেও দ্বিতীয়ার্ধে মেজাজ সামলাতে পারেননি। জাহু'কে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে মাঠের বাইরে যান সাদিকু। ওড়িশার বিরুদ্ধে দশ জনের দলে পরিণত হয়ে যাওয়ার পর বেশ খানিকটা শক্তি হারায় মোহনবাগান। ৭৪ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় ওড়িশা'ও। দুটি হলুদ কার্ড দেখেন ডেলগাডো। শেষ পর্যন্ত আর গোল শোধ করতে পারেনি বাগান ব্রিগেড। এই দিন হারের ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল যুবভারতীতে দ্বিতীয় লেগে কমপক্ষে দুই গোল দিতে হবে মোহনবাগান'কে। তা না হলে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হতে পারে মেরিনার্স'দের।