হারের ধারা বজায় রাখল ইস্টবেঙ্গল। আলোরউজ্জ্বল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ইস্টবেঙ্গল'কে ০-২ গোলে পরাজিত করল হায়দরাবাদ এফসি। প্রথম দশ মিনিটের মধ্যেই আসে প্রথম গোলটি। ৯ মিনিটের মাথায় দুই স্প্যানিশের যুগলবন্দীতে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ এফসি। হায়দরাবাদের অধিনায়ক বোরা গঞ্জালেজেপ পাস থেকে জেভিয়ার সিভেরিও টোরোর দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় হায়দরাবাদ এফসি। 

১৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যেতে পারত লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গত বারের চ্যাম্পিয়নরা কিন্তু কমলজিতের সেভ ইস্টবেঙ্গলের পতন রোধ করে। ম্যাচের ২০ মিনিট পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেই চেষ্টায়ও খুব একটা সফল হয়নি দুর্বল মাঝামাঠের কারণে। যদিও ২৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার সুযোক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সুহের ভিপি'র হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধে আরও কিছু আক্রমণ তুলে আনে হায়দরাবাদ কিন্তু তা থেকে গোল আসেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে অপেক্ষাকৃত ভাল ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গল। ৪৯ মিনিটে দুরন্ত সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেটন সিলভা। রিবাউন্ডে পাওয়া বল দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে জালে জড়াতে গিয়ে তা বাইরে মারেন ক্লেটন সিলভা। ৬৬ মিনিটে বার্থেলোমিউ ওগবেচের ব্যাকভলি লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের সহজতম সুযোগটি পেয়েছিল ৬৮ মিনিটে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও ৬৮ মিনিটে দলকে সমতায় ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন ক্লেটন সিলভা। গোলক্ষকের বাম দিক দিয়ে গড়ানে শট নেন ক্লেটন। পায়ে বলে সংযোগ ঠিক মতো না হাওয়ায় বলটি মাটি ঘেঁসা যায়। বলটি হাওয়ায় থাকলে তা থেকে নিশ্চিত ভাবে গোল আসতে পারত। মাটি যেসা বল পা ঠেকিয়ে বাঁচান হায়দরাবাদের গোলরক্ষক গুরপ্রীত।ল ৭৭ মিনিটে ক্লোজ চান্স মিস করেন সুহের ভিপি। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গলের দাপটের মধ্যেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে কিছু আক্রমণ তুলে আনে হায়দরাবাদ। ৮৫ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামা জোয়েল জোসেপ চিয়াসে একটি ফ্লাইং হেডার নেন যেটি লক্ষ্যে ছিল না। ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় থাকা ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেকটি পুতে দেন সুপার সাব আরেন ডি সিলভা। ৯০+৩ মিনিটে ওগবেচের পাস থেকে গোল করেন যান সুপার সাব।