রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করার লড়াইয়ে টিকে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। নিজেদের দাবি আরও জোরাল করতে নয়া দিল্লিতে লিগ পর্যায়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে পঞ্জাব এফসির মুখোমুখি হতে চলেছে ক্লেটন সিলভারা।

পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচটি হবে ক্লোজড ডোর, অর্থাৎ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হবে দুই দলকেই। তবে, সমর্থকদের গ্যালারিতে না পেলেও ছেলেদের নিজেদের কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “ফাঁকা গ্যালারির সামনে খেলা বেশ কঠিন। এ বার আমরা বাইরে গিয়ে যত ম্যাচ খেলেছি, আমাদের সঙ্গে সমর্থকেরা ছিলেন। তাই ওদের ছাড়া উজ্জীবিত হয়ে খেলা মুশকিল। তবে এই ম্যাচে যেহেতু আমরা কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে নামছি, তাই দলের ফুটবলাররা যথেষ্ট উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামবে। আশা করি, ম্যাচে এর প্রভাব পড়বে। সারা ম্যাচেই ওরা উজ্জীবিত হয়ে থাকবে”।   

ইস্টবেঙ্গল শেষ ম্যাচে জিতলে তারা ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করবে। অন্য দিকে চেন্নাইয়িন এফসি বা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মধ্যে একটি দল যদি তাদের শেষ দুই ম্যাচেই জয় পায়, তা হলে তারা ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে বেশি পয়েন্ট নিয়ে শেষ করবে এবং প্লে অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে এবং ইস্টবেঙ্গলের যাত্রা এখানেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু অন্য কিছু হলে ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে পারে।

এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে প্রস্তুতি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন দলের স্প্যানিশ কোচ। বলেন, “গত ম্যাচের পর আজই প্রথম আমরা অনুশীলন করলাম। আগামীকাল যে মাঠে খেলা, সেখানে এখনও নামতে পারিনি। তবে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নামার আগে আমরা ইতিবাচক রয়েছি। ওরা প্লে-অফে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে”।

বুধবারের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল সার্ভিস পাবে না দলের দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার গোলকিপার প্রভসুখন গিল এবং মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তীকে। এই নিয়ে কোচ বলেন, “গিল, সৌভিক সারা মরসুমেই ভাল পারফরম্যান্স করেছে। তাই ওদের অভাব তো অনুভব করবই। তবে, যারা তাদের জায়গায় খেলবে, তারা নিশ্চয়ই দলকে সাহায্য করবে, আশা করি, এই সুযোগটা ভারপুর কাজে লাগাবে”।

এ দিন প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “পঞ্জাব যেহেতু প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে, তাই ওদের সে রকম তাগিদ নেই এই ম্যাচটা জেতার। যেটা আমাদের আছে। তবে ওরা খেলাটা উপভোগ করবে। সেক্ষেত্রে আমরা সমস্যায় পড়তে পারি। তবে আমাদের ছেলেরা জেতার মানসিকতা নিয়েই নামবে। শারীরিক ভাবেও ওরা তিন পয়েন্ট অর্জন করার জন্য তৈরি”।

প্রতিপক্ষ নিয়ে তিনি আরও বলেন, “পঞ্জাব এফসি এই মরসুমে ভাল খেলেছে। ওদের তিন বিদেশী হঠাৎ হঠাৎ আক্রমণে ওঠে এবং গোল করে প্রতিপক্ষকে সমস্যায় ফেলে দেয়। আমাদের সে জন্য তৈরি থাকতে হবে। ওরা মরসুমের শুরুটা খারাপ করলেও ক্রমশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ওদের গ্রিক কোচও যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে বলতে হবে। পুরো মরশুম লড়াইয়ের পর শেষটা খারাপ হয়নি ওদের”।