প্রায় চার বছর পর ঐতিহ্য এবং গড়িমার লড়াইয়ে মোহনবাগানকে পরাজিত করেছে ইস্টবেঙ্গল। টানা ৮ ম্যাচে লাল-হলুদকে বিধ্বস্ত করে ৯-এ ৯ করার লক্ষ্যে মরসুমের প্রথম ডার্বিতে নেমেছিল মোহনবাগান। কিন্তু ডুরান্ডের প্রথম ডার্বিতে যুবভারতীর সমস্ত আলোর রোশনাই কেড়ে নিল উজ্জ্বল লাল-হলুদ জার্সি। কিন্তু কী কারণে হারল মোহনবাগান, তার পর্যালোচনাই তুলে আনল Sportsnscreen.com ।
১. অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এই ম্যাচে মোহনবাগানের হারের অন্যতম কারণ। লাগাতার সাফল্যের সরণিতে থাকা মোহনবাগান ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস রূপ নিয়েছিল আত্মতুষ্টির। তারই খেসারত দিতে হল এই হার দিয়ে।
২. মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ কখনও একক ভাবে নিতে পারেনি মোহনবাগান। শুরু দিকে মাঝমাঠের দখল নিজেদের কাছে রাখলেও প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে তা হাতছাড়া করে। বরং ইস্টবেঙ্গল অনেক বেশি গোছানো ফুটবল খেলেছে প্রতিটি বিভাগে।
৩. এমনিতেই পুরো দলকে নিয়ে ডার্বিতে নেমেছিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল না জড়াতে পেরে দ্বিতীয়ার্ধে জেসন কামিন্স এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসকেও নামিয়ে দেন বাগান কোচ। কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে ফিট না হওয়ার কারণে এই দুই ফুটবলারের মাঠে নামা দাগ কাটতে পারেনি। বরং মনবীর থাকলে চাপ থাকল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে
৪. মোহনবাগান ডিফেন্সের ফুলব্যাক পজিশনে শুভাসিস বসুর স্লথ গতি সমস্যার হয়ে দেখা দিচ্ছিল বারবার। তাঁর দিক দিয়ে বেশিরভাগ আক্রমণ তুলছিল ইস্টবেঙ্গল। নন্দকুমারের গোলটি যখন হয় তখন লেফট ব্যাক পজিশন থেকে সুইচ করে রাইটব্যাকের পজিশনে চলে গিয়েছিলেন শুভাশিস।
৫. মোহনবাগানকে এক সঙ্গে তিনটি টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ডুরান্ড কাপ, কলকাতা লিগের পাশাপাশি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড এএফসি কাপের জন্যও তৈরি হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ম্যাচে বিভিন্ন ফুটবলারকে খেলাতে হচ্ছে জুয়ান ফেরান্দোকে। এতে বোঝাপড়া তৈরি হতে সময় বেশি লাগে এবং অল্প সময়ের ব্যবধানে খেলতে হলে ফুটবলারদের ক্লান্তিও একটা বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয়।