জানুয়ারির শীতকালীন ট্রান্সফার
উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে দলে একাধিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
ব্রাজিলীয়ান স্ট্রাইকার এলিয়ান্দ্রোকে সই করিয়ে অনেক আশা নিয়ে কলকাতায় এনেছিল
ইস্টবেঙ্গল কিন্তু প্রত্যাশিত ফলাফল দিতে পারেননি তিনি। সুঠাম চেহারার বিদেশি দলকে
নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে যেটুকু সময় মাঠে নেমেছেন।
তাঁকে নিয়ে এমনই অবস্থা তৈরি হয়েছে
দলের যে মাঠে নামানোর ঝুঁকি নিচ্ছেন না ইস্টবেঙ্গলের কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন।
এই পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবর্তে লাল-হলুদ সই করিয়েছে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার জ্যাক
জেরভিসকে। প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফরোয়ার্ডকে সই করালেও লাল-হলুদের পারফরম্যান্সের
উপর তার প্রভাব কতটা পড়বে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ ইস্টবেঙ্গলের কোনও এক জায়গায়
সমস্যা নয়, সমস্যা রয়েছে একাধিক জায়গায়।
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: 'সিআর৭'কে প্যান্টের নীচে জায়গা দিলেন Messi'র দেশের ফুটবলার, শুরু বির্তক, দেখুন ছবি
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022: মার্টিনেজ'কে বিরাট সম্মান! শরীরে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের ছবি আঁকলেন গোমেজ
লাল-হলুদের গোল করার কাজটা বেশ ভাল
মতোই করছেন ক্লেটন সিলভা। তাঁর কারণেই ইস্টবেঙ্গল এই প্রতিযোগীতায় জয়ের মুখ
দেখেছে। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে তাঁর চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিক যদি সমর্থকদের খুশি
করে তা হলে নিঃসন্দেহে আশঙ্কার কারণ দলের রক্ষণভাগ। ওড়িশা এফসি’র বিরুদ্ধে ক্লেটন সিলভার গোলে অ্যাওয়ে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও সেই
সুবিধা নিতে পারেনি লাল-হলুদ। উল্টে, ডিফেন্সের ভুলে হজম
করতে হয়েছে তিনটি গোল। শুধু ডিফেন্ডাররাই খারাপ খেলছেন এমনটা নয়, পারফর্ম করতে পারছে না ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডও। ব্লকিংয়ের কাজটা মাঝমাঠে না
হওয়ার ফলে চাপ পড়ছে ডিফেন্সে। এ ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের দুই গোলরক্ষক কমলজিৎ সিং এবং
শুভম সেনও ব্যর্থ তিন কাঠির তলায় ভরসা জোগাতে। ফলে ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা রয়েছে
প্রতিটা বিভাগেই। ক্লেটনের পক্ষে গোল করা সম্ভব কিছু তা ধরে রাখার দায়িত্ব নিতে
হলে বাকি দলকে। ইস্টবেঙ্গলকে এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে নিজেদের রক্ষণ,
গোলরক্ষক এবং ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডেও পরিবর্তন আনতে হবে। এখনও পর্যন্ত
এই তিনটি বিভাগে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হতে চলেছে এমন কোনও খবর নেই। এই ত্রুটিগুলো
যদি শোধরাতে না পারে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব তা হলে এই মরসুমেও ট্রফির খরা বজায়
থাকবে ইস্টবেঙ্গলের।