রেফারিং নিয়ে আবারও বিস্ফোরণ ঘটালেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর দাবি, মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে বিপক্ষের একাধিক ফুটবলারকে হলুদ কার্ড দেখাননি রেফারি রাহুল গুপ্ত। যার কারণে ম্যাচটি অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয়। এ দিকে, দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের জার্সি পরে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার ভিক্টর ভ্যাসকুয়েজ।
আগামী শনিবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে এই ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন কোচ কার্লেস ও ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিদেশি ফুটবলার ভিক্টর। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনের অধিকাংশ সময়ই রেফারিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কুয়াদ্রাত। তাঁর কথায়, "বিদেশের বড় বড় লিগ খেলা প্লেয়ার নিয়ে আসা হচ্ছে ভারতে। এটা ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই জায়গায় রেফারির সিদ্ধান্ত বাধা সৃষ্টি করছে। মোহনবাগান পিছিয়ে থাকার কারণে ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের উপর ফাউল করা হলেও রেফারি একাধিকবার এড়িয়ে গিয়েছেন। সায়নকে যে ভাবে ফাউল করা হয়েছিল তাতে দিমিত্রিকে কার্ড দেখাতে পারতেন, কিন্তু রেফারি তা করেননি। এ ভাবে ফুটবলের উন্নতি হয় না।" এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, "প্রত্যেকটা দল নকআউটে ওঠার জন্য লড়াই করছে। সেখানে রেফারির একটা কার্ড'ও বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।" রেফারি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ইরাক এবং জর্ডানের একটি ম্যাচের উদাহরণ টেনে এনেছেন কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচের মতে, ইরাক বনাম জর্ডানের ম্যাচটি ৩-২ ফলাফল হওয়ার পিছনে রেফারির হাত রয়েছে। ৭৬ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা ইরাক'কে একটি লাল কার্ড না দেখালে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জর্ডান জিততে পারত না।
শহরে এসেই ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন ভ্যাসকুয়েজ। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নামতে মুখিয়ে রয়েছেন লিওনেল মেসি'র প্রাক্তন সতীর্থ। তিনি বলেছেন, "আইএসএল আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ, নতুন এডভেঞ্চার। এখানে দলের জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। বেশ কিছু দিন ধরে দল ভাল পারফরম্যান্স করছে। ক্লেইটন, পার্দো'রা ভাল খেলছে। আমি ওদের সঙ্গে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।"