সকাল থেকেই ময়দান জুড়ে সাজো সাজো রব। কলকাতার দুই প্রধানের পাশাপাশি ছোট-বড় ফুটবল খেলিয়ে সব ক্লাবেই পয়লা বৈশাখের সকালে ময়দানি রীতি মেনে পালিত হল বারপুজো। নিঃসন্দেহে এই বারপুজোর মুখ্য আকর্ষণ ছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। সদস্য-সমর্থক এবং ফুটবলারদের উপস্থিতিতে জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হল ইস্ট-মোহনের বারপুজো। দুই ক্লাবেই উপচে পড়েছিল সমর্থকদের ঢল।
এ দিন ইস্টবেঙ্গলের বারপুজোয় উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল দলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত এবং অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা’র। ক্লেটন ছাড়াও ছিলেন লাল-হলুদের বাঙালি মিডিও সৌভিক চক্রবর্তী। শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বারপুজোর প্রতিটি রীতিনীতিতে অংশ নেন কুয়াদ্রাত এবং ক্লেটন। বর্তমান দলের কোচ-ফুটবলারদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন লাল-হলুদের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, দীপঙ্কর রায় প্রমুখ। এ ছাড়াও এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবেও লাল-হলুদের বারপুজোয় উপস্থিত ছিলেন। এ দিন বারপুজোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ প্রসঙ্গে কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, “আমি যখন ইস্টবেঙ্গলে আসি তখন সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিল কল্যাণ। ও দায়িত্বে আসার পর থেকে ভারতীয় ফুটবলের অনেক উন্নতি হয়েছে। আজ এই বিশেষ দিনে ইস্টবেঙ্গলে আসার জন্য কল্যাণকে ধন্যবাদ জানাই।” লাল-হলুদ অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা জানিয়েছেন, এই মরসুমে তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি সুপার কাপ জয়। বারো বছর পর সমর্থকদের সর্বভারতীয় ট্রফি উপহার দিতে পেরে খুশি তিনি।
ইস্টবেঙ্গলের মতোই জমকালো ভাবে বার পুজো অনুষ্ঠিত হয় মোহনবাগানে। এ দিন মোহনবাগানের বারপুজোয় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত। এ ছাড়াও ছিলেন তরুণ ফুটবলাররা। এ দিন উমাপতি কুমারের উপর একটি বই প্রকাশিত হয় বারপুজোর অনুষ্ঠানে। দুই প্রধানের মতোই রীতি মেনে এ দিন বারপুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে ভবানীপুর ক্লাবেও। টুটু বসু-সৃঞ্জয় বসু’রা সকাল থেকেই ছিলেন ক্লাবে। ভবানীপুর তাঁবুতে বৈশাখের প্রথম সকালে এসেছিলেন রাজু গায়েকোয়াড়।