পরাস্ত হল ফ্রান্স। রবিবার উয়েফা নেশন্স লিগে ডেনমার্কের মুখোমুখি হয়েছিল
দিদিয়ের দেশচ্যাম্পসের প্রশিক্ষণাধীন দলটি। এই দিন একাধিক ড্যানিশদের বিরুদ্ধে ২-০
গোলে পরাস্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ন এমবাপে-এনটনী গ্রিজম্যান’রা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে দেখা যাচ্ছিল ফরাসি ফুটবলারদের। নিজেদের
মধ্যে একাধিক পাস খেলে আক্রমণে উঠে আসছিলেন এমবাপে’রা। কিন্তু গোল করতে পারেননি তাঁরা।
উল্টে ৩৩ মিনিট নাগাদ একটি গোল হজম করেন ফরাসিরা (০-১)। মাঠের বাঁদিক থেকে মিকেল ডামসগার্ডের
পাসে ডি-বক্সে ছুটে গিয়ে স্লাইড করে বলটি জালে প্রবেশ করান কাসপের ডলবার্গ। সমতায় ফেরার বদলে
বিরতিতে যাওয়ার আগে ফের এক গোল খায় ফ্রান্স (০-২)। কর্নার থেকে আসা বল অরলিয়েঁ চুয়ামেনিরা
ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ডি বক্সে থাকা ওলসেন সুযোগ পেয়ে যান। এর পর জোরালো শটে বলটিকে
জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। এই সুবাদে প্রথমার্ধের শেষের ম্যাচের ফলাফল
দাঁড়ায় ০-২ গোলের।
আরও পড়ুন: East Bengal: রিজার্ভ দলের গোলরক্ষক কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল সংগ্রামকে
আরও পড়ুন: Birendra Krishna Bhadra: ফুটবলের ধারাভাষ্য করতে গিয়ে হাসির পাত্র হয়েছিলেন বাঙালির আবেগের বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে এসেও খেলার ধরণ পরিবর্তন করেননি এমবাপে’রা। প্রথমার্ধের
মতো এই অর্ধেও একাধিক সুযোগ পান পিএসজি তারকা। কিন্তু বিপক্ষের গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মিচেল’কে
ব্যর্থ প্রমান করতে পারেননি তাঁরা। এই সুবাদে ফ্রান্স গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হয়। তবে
ম্যাচের অধিকাংশ সময় বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকে ফরাসি দলটি। গোল লক্ষ্য করে ১৭টি শট
নেয় তারা। যার মধ্যে ১০টিই গোলের বাইরে চলে যায়। বাকি ৭টি শট গোলে পৌঁছালেও তা ডেনমার্কের
রক্ষণ দুর্গের শেষ প্রহরীকে (গোলরক্ষক স্মিচেল) ব্যর্থ করে জালে প্রবেশ করতে পারেনি।
ফলস্বরূপ দুই গোলের লিড নিয়ে মাঠ ছাড়েন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন’রা। অন্যদিকে, রবিবারের
রাতে ফ্রান্সের সঙ্গী হয় ব্যর্থতা। এই দিন পরাস্ত হওয়ার ফলে নেশন্স লিগের লিগ ওয়ান
গ্রুপ এ-র তৃতীয় স্থানেই রয়ে গেল ফ্রান্স। ছয় ম্যাচে মাত্র একটি জয় এবং দুটি ড্র নিয়ে
৫ পয়েন্ট সংগ্ৰহ করল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।