প্লে অফে দুরন্ত জয় তুলে নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৮১ রানে জিতেছে রোহিত শর্মার দল। বুধবারের ম্যাচে একাধিক নজির গড়েছেন দুই দলের ক্রিকেটাররা। একনজরে দেখে নিন, কী কী রেকর্ডের সাক্ষী থাকল চিপক।
আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন আকাশ মাধওয়াল। প্লে অফে এর আগে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ডাগ বোলিঞ্জারের। ২০১০ আইপিএলে ১৩ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন সিএসকের পেসার।
৫-পাঁচ উইকেটে নিতে মাত্র ৫ রান খরচ করেন আকাশ মাধওয়াল। আইপিএলের ইতিহাসে যুগ্মভাবে সবচেয়ে কম। ২০০৯ সালের আইপিএলে ভারতের কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলে ৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
১০১- মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই স্কোর প্লে অফে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১০ সালে ডেকান চার্জার্স ৮২ রানে অলআউট হয়েছিল, ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ৮৭ রানে।
৬-মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে আইপিএলে টানা দু-ম্যাচে ৪ কিংবা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। এ বার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আকাশ। মুম্বইয়ের হয়ে ২০১২ সালে এই কীর্তি ছিল মুনাফ প্যাটেলের।
৫/৫- আকাশ মাধওয়ালের এই বোলিং পরিসংখ্যান ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যুগ্মভাবে সেরা। অনিল কুম্বলেরও একই পরিসংখ্যান ছিল। আইপিএলে সব মিলিয়ে চারজন বোলারের এই পরিসংখ্যান রয়েছে।
১৪- লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এলিমিনেটর ম্যাচে পেসাররা ১৪ উইকেট নিয়েছেন। চিপকে এর আগে আইপিএলের কোনও ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। ২০১৫ সালে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা।
৩২- শেষ সাতটি পার্টনারশিপে মাত্র এই রান জুড়েছে লখনউ। ৬৯-২ থেকে ১০১ রানে অলআউট। আইপিএলের প্লে-অফে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। সব মিলিয়ে পঞ্চম বার এমন বিপর্যয়।
৮১-মুম্বইয়ের এই জয়ের ব্যবধান আইপিএলের প্লে-অফে তৃতীয় সর্বাধিক। ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ১০৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।