ফের হার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু’র (RCB)। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে পরাজিত বিরাট কোহলি-ফাফ ডু প্লেসিসের দল। বৃহস্পতিবার টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। 

ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং সহায়ক পিচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৬/৮ রান তোলে আরসিবি। বিরাট কোহলি (৩) রান না পেলেও ফাফ ডু প্লেসিস (৬১), রজত পাতিদার (৫০) এবং দীনেশ কার্তিকের অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংসের উপর ভর করে বড় রান তুলতে কোনও সমস্যা হয়নি বাগিচা শহরের দলের। তবে, এই তিন ব্যাটার কোনও আরসিবি ব্যাটসম্যানই এই ম্যাচে দাঁড়াতে পারেননি। বরং বলা ভাল জসপ্রীত বুমরাহের বিধ্বংসী বোলিং আরসিবি’র লোয়ার মিডল অর্ডারের ভিত আলগা করে দেয়। বুমরাহ একাই পাঁচটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান জেরাল্ড কর্টজে, আকাশ মাধওয়াল এবং শ্রেয়স গোপাল। এই ম্যাচের রান পাননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।

আরসিবি’র দেওয়া ১৯৭ রানের পাহাড়প্রমাণ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪.৩ ওভার বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটিতে ঈশান কিষানের ৩৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংস এবং রোহিত শর্মার ২৪ বলে ৩৮ রানের ইনিংস জয়ের ভিত গড়ে দেয়। প্রথম উইকেটে ১০১ রান তোলে মুম্বই। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা সূর্যকুমার যাদব খেলেন ১৯ বলে ৫২ রানে বিস্ফোরক ইনিংস। সূর্যকুমার আউট হওয়ার পর আর বেশি রান বাকি ছিল না। সেই কাজটা দক্ষতার সঙ্গে সমপন্ন করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (১৫*) এবং তিলক বর্মা (১০*)। আরসিবি’র হয়ে একটি করে উইকেট নেন আকাশ দীপ বিজয়কুমার বৈশাক এবং উইল জ্যাকস। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার সপ্তম স্থানে রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং ৬ ম্যাচে ১টি জয়ের সৌজন্যে ২ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে রইল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।