ইডেনে আইপিএল ফেরার সঙ্গেই ক্রিকেট উৎসবে গা ভাসাল তিলোত্তমা। বিশ্বকাপে মানুষের যেই ঢল দেখেছিল কলকাতা সেই একই রকম উচ্ছ্বাস-উন্মাদনার সাক্ষী থাকল শহরবাসী শনিবাসরীয় সন্যাাস। ঘরের মাঠে কলকাতার প্রথম ম্যাচের পাশাপাশি এ দিন শহরবাসীকে ইডেন মুখো করার নেপথ্যে বড় অবদান ছিল বলিউড বাদশার। মিচেল স্টার্ক এবং ইয়ন বিশপ ইডেনের বেল বাজিয়ে খেলার সূচনা ঘোষণা করেন।
টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কে যে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন তা বোঝা গেল পাওয়ার প্লে-তে। ঘরের মাঠে শুরুতেই তিন উইকেট হারায় কেকেআর। গৌতম গম্ভীর মেন্টরের ভূমিকায় আসার পর সুনীল নারিনকে পাঠিয়েছিলেন ওপেন করতে। দ্রুত গতিতে রান তোলার লক্ষ্যে তাঁকে পাঠানো হলেও সুনীল নারিন (২) রান আউট হয়ে ফিরে যান। চতুর্থ ওভারে বড় ধাক্কা পায় কেকেআর। তাঁর ওভারেই ফেরেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং শ্রেয়স আইয়ার। ভেঙ্কটেশ ফেরেন ৭ রানে। রানের খাতা না খুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাইট অধিনায়ক। দলের ব্যাটিং যখন নরবড়ে তখন ফিলিপ সল্টের সঙ্গে জুটি বেঁধে নাইট ব্যাটিংকে স্থিতিশিলতা ফিরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন রমনদীপ সিং। ১৭ বলে ঝোড়ে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। সল্টের সঙ্গে গড়েন পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপ। ভাল ছন্দে থাকলেও কামিন্সের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এক দিক থেকে উইকেটের পতন ঘটলেও ফিলিপ সল্টের নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং কলকাতাকে রক্ষা করে ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে। ৫৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইংলিশ ব্যাটার।
সেট দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর ইডেনের যখন নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে তখন গঙ্গা পারের স্টেডিয়ামে উঠল ঝড়, যেই ঝড় ক্রিকেট বিশ্ব চেনে ক্যারিবিয়ান সাইক্লোন নামে। তাঁকে কেন কেকেআর-এর সম্পদ বলা হয় তা আবারও বোঝালেন ক্যারিবিয়ান তারকা। রিঙ্কু সিংকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ বলে গড়েন ৫১ রানের পার্টনারশিপ। গড়েন রাসেল। মূলত তাঁর বিস্ফোরক ইনিংসের সৌজন্যেই ২০৮/৭ রান তোলে কলকাতা। এ দিন ২০ বলে অর্ধশতরান করেন রাসেল যেটি আইপিএল কেরিয়ারে তাঁর দ্বিতীয় দ্রুততম। রিঙ্কু সিং-এর ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে তিন উইকেট নেন টি নটরাজন, দুইটি উইকেট পান ময়ঙ্ক মারকাণ্ডে, একটি শিকার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের।
কলকাতার দেওয়া ২০৯ রানের পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দুই ওপেনার ময়ঙ্ক আগরওয়াল (৩২) এবং অভিষেক শর্মা (৩২) শুরু ভাল করলেও ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর বল হাতেও হায়দরাবাদকে কোণঠাঁসা করার কাজ চালিয়ে যান রাসেল। তাঁর বলেই আউট হন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা অভিষেক। শুধু অভিষেককেই নয়, আব্দুল সামাদকেও (৪৩) প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান রাসেল। এই ধরনের রান তাড়া করার ক্ষেত্রে অনেশ বেশি গুরুত্ব থাকে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের উপর। সেখানে রাহুল ত্রিপাঠী (২০), এইডেন মার্করাম (১৮) কেউ দাঁড়াতেই পারলেন না।
তবে, তখনও ম্যাচ জীবিত ছিল কারণ ক্রিজে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হেনরিচ ক্লাসেন এবং বাংলার ক্রিকেটার শাহবাজ আহমেদ। ইডেন গার্ডেন্স বরাবর তারকার জন্ম দিয়ে আসে। সেই ঐতিহ্যের ইডেনে ব্যাটহাতে ঝঙ্কার তোলেন ক্লাসেন (৬৩)। একার হাতে ম্যাচ কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন কেকেআর-এর থেকে। যদিও শেষ রক্ষা হল না তরুণ ক্রিকেটার হার্ষিত রানা শেষ ওভারে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন। শেষ ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যান ক্লাসেন এবং শাহবাজকে তুলে নিয়ে কলকাতাকে চার রানে জয় এনে দেন।
✔ SЕNDING 0,7576 ВTC. Receive =>> https://telegra.ph/BTC-Transaction--878645-03-14-2?hs=1a0b58dd59e4eecffbdf2c30ec78c5bb& ✔
Mar 24, 2024 04:28 [IST]