রুদ্ধশ্বাস জয় সিএসকের। সোমবার নাটকীয় ভাবে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হল চেন্নাই সুপার কিংস। রাহানে, রায়ডু ও ধোনি হওয়ার পর একটা সময় বড় সমস্যায় পড়তে হয় চেন্নাই'কে। কিন্তু জাদেজা'র জাদুতেই কাঙ্খিত তুলে নেয় সিএসকে। ইনিংসের শেষ দুই বলে একটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি মেরে চেন্নাইয়ের জয় নিশ্চিত করলেন তিনি।
ফাইনালে টস জিতে গুজরাতকে ব্যাটিং করতে পাঠান সিএসকে অধিনায়ক ধোনি। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছন্দে দেখা যায় ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল'কে। ৩ রানে থাকাকালীন ক্যাচ আউট হতে পারতেন গুজরাতের তরুণ ওপেনার। কিন্তু দীপক চহার শুভমনের ক্যাচটি ধরতে পারেননি। ফাইনাল ম্যাচে বিশেষ ছন্দে দেখা গেল না শুভমন'কে। ৩৯ রান করে ধোনির হাতে স্ট্যাম্প আউট হন তিনি। তবে গিল ফেরার পরেও দ্রুত রান তুলতে দেখা যায় বাঙালি ক্রিকেটারকে।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাই সুদর্শনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ঝড়ের গতিতে রান তোলেন ঋদ্ধি। পাওয়ারপ্লে'র শেষে ৬২ রান ছিল গুজরাতের। শুভমন ফেরার পর ১৩তম ওভারে ব্যাটের খোঁচা লাগিয়ে ধোনির হাতে ক্যাচ দেন ঋদ্ধি। ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। এই দিন চেন্নাইয়ের বোলারদের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো ব্যাটিং করলেন সাই সুদর্শন। একটুর জন্য শতরান হয়নি তাঁর। ৯৬ রানের বড় ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর ১২ বলে ২১* রানের ইনিংস খেলেন গুজরাত অধিনায়ক হার্দিক। এই সুবাদে নির্ধারিত ওভারের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে গুজরাত।
৯:৫১ নাগাদ বৃষ্টি আসে। এরপর দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ম্যাচ। ডিএলএসের নিয়ম রান ও ওভার কমিয়ে দেওয়া হয়। ১৫ ওভারে সিএসকের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭১। ওপেন করতে নেমে ঋতুরাজ গায়কোয়াড, ডেভন কনওয়ে'রা দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন। ১৬বলে ২৬রান করেন ঋতুরাজ। অন্যদিকে কনওয়ের সংগ্ৰহ ২৫ বলে ৪৭রান। শিবম দুবে এই দিন ৩২রান করে অপরাজিত রইলেন। একটা সময় ম্যাচ হেরে যাওয়ার দিকে পৌঁছে গিয়েছিল সিএসকে। আম্বাতি রায়ডু ও ধোনি আউট হয়ে যান । কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজা'র সৌজন্যে আইপিএল জয় করে নেয় চেন্নাই। ইনিংসের শেষ ওভারে মোহিত শর্মা'র বিরুদ্ধে ১৩ রান করতে হত জাদেজা ও দুবে'কে। শেষ দুই বলে একটি ছক্কা ও একটি চার মেরে চেন্নাইয়ের জয় নিশ্চিত করেন জাদেজা। এই সুবাদে আইপিএলের পঞ্চম ট্রফি হাতে ওঠে ধোনির। পাঁচ উইকেটে ম্যাচটি জিতল চেন্নাই।