অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে গেল হরিদেবপুর এলাকায়। স্বামীর সঙ্গে আইপিএল-এর ম্যাচ দেখা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন চিকিৎসক স্ত্রী। মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই নিজের জীবন শেষ করে দেন চিকিৎসক দীপা হালদার। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, স্ত্রী দীপা'র সঙ্গে টিভিতে আইপিএল-এর ম্যাচ দেখা নিয়ে অশান্তি হয় তাঁর স্বামী সুশোভন হালদারের। সুশোভন চেয়েছিলেন ম্যাচ দেখতে এবং দীপা চেয়েছিলেন অন্য চ্যানেল দেখতে। সেই নিয়ে অশান্তি হয় তাঁদের। এর পরই এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন দীপা। গত রবিবার সকালে হরিদেবপুর থানার পুলিশ গিয়ে দীপাদেবীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। ঘটনাস্থলে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দীপা।
সুশোভনবাবু একটি সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। কিছুদিন আগে দীপাদেবী চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তাঁদের একমাত্র সন্তান লন্ডনে ডাক্তারি পড়ছেন। হরিদেবপুরে এই ফ্ল্যাটে চিকিৎসক দম্পতি একাই থাকতেন। পাড়ার কারও সঙ্গে তাঁদের মেলামেশা ছিল না। শনিবার আইপিএলে দু’টি ম্যাচ ছিল। ক্রিকেট খেলা দেখতে ভালবাসেন সুশোভন। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে অশান্তির পর রাতে খাওয়াদাওয়া না করেই শুয়ে পড়েন দীপা। তদন্তে উঠে এসেছে দু’টি ঘরে আলাদা শুতেন স্বামী-স্ত্রী। সকালে স্বামী দীপাদেবীকে ডাকেন। কিন্তু সাড়াশব্দ পাননি। এরপর হরিদেবপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ সকলের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁকে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে দীপাদেবী অনেকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তিনি নিয়মিত ওষুধও খেতেন। অবসাদের কারণে চাকরি থেকে অবসর নেন। শনিবার তিনি ওষুধও খাননি। যদিও এই বিষয়টির পিছনে কারও হাত রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।