মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট যখন দেশের
শীর্ষ লিগে নামার জন্য নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল তখনও নিজেদের ডিফেন্সের সমস্যা গুছিয়ে
ফেলতে পারেনি।
জর্ডান এলসে চোট পাওয়ার পর তাঁর
জায়গায় কাকে খেলানো হবে সেই চিন্তাই এখন ঘুরছে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের
মাথায়। তিনি বলেন, “জর্ডানের না থাকাটা
আমাদের কাছে একটা ধাক্কা। কিন্তু খুঁজতে হবে,
ভাল প্লেয়ার কে রয়েছে।”
জ্যোতিষীর পরামর্শে প্রথম একাদশ নির্বাচন করতেন স্টিম্যাচ! বড়সড় বিতর্কের মুখে ভারতীয় দলের কোচ
ইউরো কাপের বাছাই পর্বে বিরাট ব্যবধানে জয় পর্তুগালের
বর্তমানে এশিয়ান গেমস-এর জন্য জাতীয় শিবিরে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে
এআইএফএফ-এর সঙ্গে আইএসএল ক্লাবগুলির। এই প্রসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল
কোচ বলেন,
“ফিফা ক্যালেন্ডার আমি জানি। ফিফার ক্যালেন্ডারে
যা নির্দেশ রয়েছে সেই পথেই চলব আমরা। ফিফার ক্যালেন্ডার মানতে সারা বিশ্ব বাধ্য।” উল্লেখ্য, এশিয়ান গেমস ফিফা
স্বীকৃত টুর্নামেন্ট নয়, যে কারণে ফুটবলার
ছাড়া নিয়ে ক্লাব এবং ফেডারেশনের মধ্যে এই টানাপোড়েন চলছে।
কার্লেস কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ দিন পর ইস্টবেঙ্গল’কে
পুরনো রূপে দেখা যাচ্ছে। আইএসএলে শেষ তিন বছর ইস্টবেঙ্গলের
সাফল্য কিছুই নেই। ধুঁকতে থাকা সেই লাল-হলুদ দলের দায়িত্ব নিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে তুলেছেন কুয়াদ্রাত। ডুরান্ড থাকার ফলে প্রি-সিজন ঠিক মতো করার সুযোগ হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। তবে, এই মাঝের সময়টা দলকে আরও ভালভাবে গুছিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন
স্প্যানিশ কোচ। বেঙ্গালুরু এফসিকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করা হেভিওয়েট কোচ বলেন, “বিভিন্ন ট্যাকটিসে দলকে তৈরি করছি আমরা। প্রতিপক্ষ সম্পর্ক
যত বেশি সম্ভব হোমওয়ার্ক করছি। আমার লক্ষ্য যাতে এই দল প্রতিটা ম্যাচে লড়াকু
মানসিকতা দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে। আমি খুশি দল এখনও পর্যন্ত সেই লড়াকু মানসিকতা
বজায় রেখেছে।”
ডুরান্ড কাপে দেখা গিয়েছে লোন স্ট্রাইকারে
দলকে খেলিয়েছেন কুয়াদ্রাত, সেই ক্ষেত্রে
জেভিয়ার সিভেরিও একা হয়ে যাওয়া অ্যাটাকিং লাইনে ইস্টবেঙ্গলকে একাধিক ম্যাচে দুর্বল
দেখিয়েছে। যদিও সেই সময়ে সম্পূর্ণ ফিট ছিলেন
না ক্লেটন। এই বিষয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, “ডুরান্ডের সময়ে ক্লেটন সিলভা পুরোপুরি ফিট ছিল না, যার ফলে প্রথম থেকে ওকে খেলানো যায়নি। এই ফাঁকা সময়ে অনেকটাই
ফিট হয়ে উঠেছে ও। আইএসএল-এ অন্য রকম ভাবে দেখা যেতেই পারে তাঁকে।”
গত আইএসএল-এ যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতা
হলেও ক্লেটন সিলভা ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম ছয়ে রাখতে পারেননি। এক দিক থেকে তিনি গোল করে গিয়েছেন, অন্য দিক থেকে গোল হজম করে গিয়েছে লাল-হলুদ ডিফেন্স। তবে, নতুন মরসুমে অন্য ইস্টবেঙ্গলকে দেখতে পাওয়া যাবে, এমনটাই আশা রাখছেন ক্লেটন। লাল-হলুদের
অধিনায়ক বলেন, “প্লেয়াররা অনেক
উন্নতি করেছে। আমি আশা করি গত বারের থেকে এই বার ভাল পারফর্ম করবে দল।”