কলকাতায় পা রাখলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষককে দেখতে বিশৃঙ্খলা
সৃষ্টি হয়েছে শহরে। ফুটবলারকে দেখতে ভিড় উপচে পড়ে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে। মঞ্চে উঠে পড়লেন প্রাক্তন ফুটবলারেরা।
বিশৃঙ্খলা সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল পুলিশকে।
দর্শকদের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে পড়ার
উপক্রম হয়। লিওনেল মেসির প্রিয় সতীর্থকে দেখার
জন্য উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায় সমর্থকদের। মঞ্চে উঠে পড়েন এক ভক্তরাও। মঙ্গলবার অনুষ্ঠান শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের
প্রায় ২০-২৫ মিনিট পরে। মার্টিনেজ মঞ্চে ওঠার পর তাঁর ছবি
তোলার জন্য এগোতে থাকেন দর্শকরা। তাতেই ব্যারিকেড ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি
হয়। প্রায় ২০ মিনিট পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায়। প্রথমে ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা তাঁকে সংবর্ধনা জানান। ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পরেন আর্জেন্টিনার
গোলরক্ষক। ‘জয় ইস্টবেঙ্গল’ বলতেও শোনা যায়।
পরে মোহনবাগান কর্তারাও তাঁকে সংবর্ধনা দেন।
আরও পড়ুন: SAFF Championship 2023: 'কঠিন প্রতিপক্ষ কুয়েত', তবুও সুনীলকে সামনে রেখে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ফন্দি আঁটছে ভারত
আরও পড়ুন: Emiliano Martinez: কলকাতা সফরে এসে বাঙালি খাবার খাবেন মার্টিনেজ, জেনে নিন কী কী থাকছে তাঁর মেনুতে?
এর পরই মঞ্চে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অলোক মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ নন্দী, হেমন্ত ডোরার মতো প্রাক্তন ফুটবলারেরা মার্টিনেজের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য মঞ্চে উঠে পড়েন। অনেকের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানরাও
ছিলেন। উদ্যোক্তাদের তরফে বার বার তাঁদের নামতে অনুরোধ করা হলেও তাঁরা সেটা
শোনেননি। মঞ্চের সামনে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ব্যারিকেড টপকে অনেকে ঢুকে পড়তে
থাকেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে বেরিয়ে যান মার্টিনেজ।
বিশৃঙ্খলার জন্য উদ্যোক্তাদেরই দায়ী করেছেন
সেখানে থাকা পুলিশরা। তবে সেখানে
উপস্থিত অন্য কর্তারা বিশৃঙ্খলার কথা মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, পুলিশ পরিস্থিতি ভাল ভাবে সামলেছে। এই গোটা ঘটনায় অবশ্য মার্টিনেজ’কে খুব একটা বিরক্ত লাগেনি। মানুষের ভিড়ে চুলের
টিকি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিল না তাঁর।