সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে শুরুটা একেবারেই প্রত্যাশা মতো করতে পারেনি বাংলা। প্রথম ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে ২-২ গোলে ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ১-২ গোলে পারিজত হয় বাংলা।
এই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা, কিন্তু ডিফেন্সের গঠন ঠিক মতো ধরে রাখতে না পারার খেসারত দিতে হল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দলকে। বাংলার এই হার তাদের সন্তোষ ট্রফির শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনাকে অনেকটাই ক্ষীণ করে দিল। এ দিন ম্যাচের ১৬ মিনিট নরহরি শ্রেষ্ঠার গোলে এগিয়ে যায় বাংলা। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে সেই গোলের লিড তারা হারিয়ে ফেলে। ৪১ মিনিটে সার্ভিসেসকে সমতায় ফেরান ক্রিস্টোফার কামি। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে দ্বিতীয় গোল হজম করে বাংলা। ৮২ মিনিটে বিকাশ থাপার গোলে সার্ভিসেস লিড নেয় ম্যাচে। শেষ মুহূর্তে কোনও ভাবে একটি গোল শোধ করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি বাংলা।
বাংলার এই হারের পর থেকেই ধীরে ধীরে প্রশ্ন ওঠা শুরু হচ্ছে, কী ভাবে যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে এত ভাল খেলাটা একটা দল মূলপর্বে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল। যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে গ্রুপ অব ডেথে-এই ছিল বাংলা। অনেক বড় দলকে হারিয়ে তারা জায়গা করে নিয়েছে মূল পর্বে। এই অবস্থায় এই ছন্দ পতনের অর্থ কী। যে দলটা যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে মাত্র একটি গোল হজম করেছিল, সেই দলটা মূল পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে কী ভাবে ৪ গোল হজম করল! এটির নেপথ্যে দু'টি প্রধান কারণ হতে পারে, অল্প সময়ের ব্যবধানে পরের পর ম্যাচ খেলতে হওয়ায় ফুটবলাররা শারীরিক ভাবে তরতাজা হয়ে মাঠে নামার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন না। অথবা, দলের মধ্যে কোথাও হালকা হলেও আত্মতুষ্টি ভর করেছিল। তবে, পর পর দুই ম্যাচে আটকে যাওয়ার পর 'আত্মতুষ্টি' নামক বিশেষণ যে বাংলার দল ঝেড়ে ফেলেই পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামবে এই বিষয়ে সংশয় থাকার কথা নয়।
কাজ এখন অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের দলের কাছে। বাংলাকে এখন পরবর্তী তিনটি ম্যাচে জিততেই হবে এবং নির্ভার করতে হবে অন্যান্য দলের ফলাফলের উপরও। সার্ভিসেস দুই ম্যাচে দুইটি জয় নিয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে রয়েছে গ্রুপের শীর্ষ স্থানে। বাংলার সামনে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে পরবর্তী ম্যাচগুলিতে। নরহরি শ্রেষ্ঠার দল যদি নিজেদের শেপ ধরে রাখতে পারে তা হলে বাংলার দলের কাছ থেকে মনে রাখার মতো প্রত্যাবর্তন আশা করাই যায়।