দুরন্ত জয় এটিকে মোহনবাগানের। যুবভারতীতে আইএসএল সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হায়দরাবাদ এফসি'কে টাইব্রেকারে হারাল সবুজ-মেরুন দল। এই দিন নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও গোলশূন্য থাকায় টাইব্রেকার গড়ায় ম্যাচ। এরপর শেষ পেনাল্টি মেরে এটিকে মোহনবাগান'কে ফাইনালে তুলে দিলেন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল।
সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে গোলশূন্য ফলাফল হয়েছিল। বিপক্ষের ডেরায় সেই ম্যাচটিতেও দাপট দেখিয়েছিল প্রীতম কোটালের দল। এই দিন নিজেদের ঘরের মাঠেও সারাক্ষণ দাপিয়ে বেরালেন মেরিনার্স'রা। ম্যাচের শুরুর দিকে কিছুটা ছন্নছাড়া ফুটবল খেললেও ম্যাচের ১৫ মিনিটের পেরিয়ে যাওয়ার পরই ছন্দে ফেরেন শুভাশীষ বোস-হুগো বুমোস'রা। এই দিন চোটের কারণে আশিক কুরুনিয়ান না থাকার পরেও মাঠের দুই প্রান্ত ব্যবহার করে দাবার ছকের মতো আক্রমণ করছিলেন শুভাশীষ'রা। বাম দিক থেকে শুভাশীষ, ডান দিক থেকে আশীষ একের পর এক বিষ মাখানো ক্রস তুলছিলেন। কিন্তু গোল করতে পারেননি বাগান ফুটবলাররা।
সব কিছু ঠিক থাকলে, ২৫ মিনিটের মধ্যে তিন গোলে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। কিন্তু তা হয়নি। ২০ মিনিটের মাথায় গ্লেন মার্টিন্সের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২১ মিনিট নাগাদ দ্রুত খেলা শুরু করতে গিয়ে দিমিত্রিকে বল দিয়ে দেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। কিন্তু ফাঁকা সুযোগ পেয়েও বলটিকে বাইরে মারলেন দিমিত্রি। এরপর ২২ মিনিটের মাথায় দুভাগ্যবশত গোল হয়নি এটিকেএমবি'র। বক্সের সামনে থেকে মনবীরের বা পায়ের শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। এই সুবাদে প্রথমার্ধে আর গোলমুখ খুলতে পারেননি জুয়ানের ছাত্ররা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আক্রমনাত্মক ফুটবল খেললেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোহনবাগানের আক্রমণের ঝাঁজ কিছুটা কমে যায়। একাধিক মিস পাস, গোলের বাইরে শট, হায়দরাবাদ ফুটবলারদের পায়ে বল তুলে দেওয়ার মতো ভুল করতে দেখা যায় তাদের। এই সুযোগ কাজে লাগান ওগবেচে'রা। কিন্তু ডিফেন্সে স্লাভকো-প্রীতম থাকার কারণে একাধিকবার গোল খাওয়া থেকে রক্ষা পায় বাগান। ৮০ মিনিটের মাথায় ফের একটি ফাঁকা সুযোগ নষ্ট হয় মোহনবাগানের। বুমোস গোলে মারলেও বলটি গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়। ৯৭ মিনিটের মাথায় হামতের শট একটুর জন্য বাইরে যায়। তা না হলে এক গোলে জিততে পারত সবুজ-মেরুন। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ফলাফল না হওয়ার কারণে টাইব্রেকার হয়। এই পর্বে ৪-৩ গোলে জেতে বাগান। শেষ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করিয়ে দেন অধিনায়ক প্রীতম।