বছরের প্ৰথম ম্যাচেই হার হজম করল এটিকে মোহনবাগান। দুই স্ট্রাইকার নিয়ে দল সাজিয়ে ফের পরাস্ত হল তারা। শনিবার যুবভারতিতে মুম্বই সিটি এফসি'র বিপক্ষে প্রথমে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলল বাগান। দ্বিতীয়ার্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেন জুয়ান ফেরান্দোর ছাত্ররা। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। বাণিজ্যনগরীর দলটির বিপক্ষে ০-১ গোলে হারল সবুজ মেরুন দলটি।

ঘরের মাঠে প্রথম হাফে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে গেল মোহনবাগান। এই দিন ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলছিল সবুজ-মেরুন। ডিফেন্ডারদের ভুলে প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল করে দিতে পারত মুম্বই। যদিও গোলরক্ষক বিশাল কাইথের তৎপরতায় গোল খায়নি গঙ্গা পাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি। দ্বিতীয় এবং অষ্টম মিনিটে হামিলের ভুলে ফাঁকা সুযোগ আসে মুম্বইয়ের। দুটি ফাঁকা সুযোগই পান ছ্যাঙতে। কিন্তু বিশালের সৌজন্যে গোল করতে পারেননি তিনি। দশম মিনিটে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা স্টিয়ার্টকে গোল করতে দেননি বিশাল। 

ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে বাগান। সেই সুবিধা নিয়ে ২৮ মিনিটে সবুজ-মেরুন'কে এক গোলে পিছিয়ে দেন ছ্যাঙতে। বক্সের সামনে থেকে বাম পায়ের শটে জাল কাঁপান তিনি(০-১)। এর পরের মিনিটেই সুযোগ আসে মোহনবাগানের। কিন্তু বক্সের সামনে থেকে শট বাইরে মারেন হুগো। ৪০ মিনিট নাগাদ আশিকের বাড়ানো ক্রস গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন দিমিত্রি। ৪২ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে সুযোগ নষ্ট করেন লিস্টন। ৪৪ মিনিট নাগাদ বক্সের ভিতর থেকে সাইড ভলি গোলের মধ্যে রাখতে পারেননি দিমিত্রি। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহনবাগানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা পুইতিয়ার জায়গায় নামেন লেনি। এই অর্ধের শুরু থেকেই ভাল ফুটবল খেললেন জুয়ানের ছাত্ররা। নিজেদের মধ্যে ছোট-বড় পাস খেলে একাধিক বার আক্রমণে উঠলেন তাঁরা। ৫০ মিনিটে লিস্টন, ৫৩ মিনিটে দিমিত্রি এবং ৫৭ মিনিটে হুগো বুমোসের পা থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় দিমিত্রির কর্নারে হেড দেন ম্যাকহিউ। তবে সেটি বাজপাখির মতো লাফিয়ে সেভ দেন লাচেঙপা। ৬৯ মিনিটে ম্যাকহিউ'কে খারাপ ভাবে ফাউল করেন মুম্বইয়ের ফুটবলার। কিন্তু বিপক্ষকে কার্ড না দেখানোর কারণে রেফারির সঙ্গে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখেন আশিক কুরুনিয়ান। ৭৬ মিনিট নাগাদ বক্সের ভিতর থেকে মারা বুমোসের শট একটুর জন্য বাইরে যায়। ৮০ মিনিট নাগাদ শুভাশীষের বদলে নামেন  নাসিরি এবং ম্যাকহিউ-এর বদলে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামেন গালেগো। ম্যাচ শেষের আগে প্রীতমের বদলে নামেন ফার্দিন আলি। কিন্তু ফলাফল বদলাতে পারেনি বাগান ফুটবলাররা।