ওড়িশা এফসি'র বিরুদ্ধে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বড়সড় বিপদের মুখে ফেলতে পারে মোহনবাগান'কে। তাই মুম্বই সিটি এফসি'র মতো দলকে হারিয়ে লিগ শিল্ড জিতলেও ওড়িশা এফসি'কে হালকা ভাবে নিচ্ছেন না মোহনবাগান কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস। আগামী মঙ্গলবার কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ওড়িশা'র মুখোমুখি হবে মোহনবাগান। সেমিফাইনালের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রয় কৃষ্ণ'দের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত সবুজ-মেরুন।

ওড়িশায় রওনা দেওয়ার আগে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেজ ও লিস্টন কোলাসো'র। কিন্তু তাদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হাবাস'ও। এ দিন তিনি বলেন, "গোল না খেয়ে নব্বই মিনিট টিকে থাকা আমাদের কাছে প্রধান লক্ষ্য। সেমিফাইনালের প্রথম লেগ আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচ জেতা সহজ হবে না। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।"

বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলছে। এই গরমের মধ্যে ৯০ মিনিট দৌড়ানো কতটা কঠিন? হাবাসের জবাব, "তাপপ্রবাহের মধ্যে খেলার সমস্যাটা আমাদের একার নয়। ওড়িশাতেও প্রায় একই রকম আবহাওয়া তাই দু'দলের কাছেই এটা সমান সমস্যার বিষয়।"

গত সপ্তাহের শুরুতে মুম্বইয়ের মতো কঠিন দলকে হারানোর পর ওড়িশা ম্যাচ কতটা চ্যালেঞ্জের? এর জবাবে হাবাস বলেন, "শিল্ড জিতে ছেলেরা যাতে আত্মতুষ্টি হয়ে না পড়ে সেদিকে নজর রাখছি আর ছেলেদের অনুশীলনের মধ্যে রাখছি।" এসবের মধ্যেই মোহনবাগানের জন্য স্বস্তির খবর সাহাল আব্দুল সামাদের প্রত্যাবর্তন। সেমিফাইনালের আগে চোট সারিয়ে দলে ফিরছেন তিনি। 

একটা সময় হাবাসের ছাত্র ছিলেন রয় কৃষ্ণ। চলতি মরসুমে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন প্রাক্তন বাগান তারকা। যে কোনও সময় গোল ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন তিনি। তাই তাঁকে নিয়ে কি কোনও পরিকল্পনা তৈরি করেছেন হাবাস? উত্তরটা হল না। তিনি জানিয়েছেন, ১১ জন ফুটবলারদের মধ্যে তাঁকে আলাদা করে দেখা হচ্ছে না। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগ হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ঘরের মাঠে আয়োজিত সেই ম্যাচে সমর্থকদের সামনে নিজেদের সেরাটা তুলে ধরার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন হাবাস।