আগামীকাল নীলষষ্ঠী। এদিন সমস্ত মহিলাই তাঁরা তাঁদের
সন্তানদের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন মায়েরা। সারাদিন ধরে উপোস করে সন্ধ্যায় শিবের
মাথায় জল ঢেলে উপবাস শেষ করেন। তবে সারাদিন উপোস থাকার পর শেষে কী খাবেন বুঝতে পারেন
না, সেই একঘেয়ে চিঁড়ে বা ফল, মিষ্টি খেয়ে তো চলে না। কারণ এখন সকলকেই ওষুধ খেতে হয়।
তাই রীতি অনুযায়ী নিরামিষ খাবার খাওয়াও হবে, আবার রোজকার নিরামিষের থেকে একটি অন্যরকম
পদও চেখে দেখা হবে। ঝটপট বানিয়ে নিতে পারেন এই সমস্ত জিনিস।
হিংয়ের কচুরির
উপকরণ-
ময়দা – ২০০ গ্রাম, লবণ – ২ চিমটি, চিনি – ১ চিমটি, ঘি – ২ টেবিলচামচ, বিউলির
ডালের গুঁড়ো – ১০০গ্রাম, হিং , ভাজার জন্য তেল।
প্রণালী-
প্রথমে ময়দার একটা ডো বানিয়ে নিতে হবে। তার জন্য ময়াদা চিনি, নুন, ঘি
দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ভাল করে মেখে এবার সেই ডো বানান। তা থেকে ছোট ছোট বল বানিয়ে
নিন। অন্য একটি ছোট পাত্রে বিউলির ডালের গুঁড়ো, হিং, নুন-চিনি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি
করুন। এবার ময়দার বলগুলো হাতে নিয়ে চ্যাপ্টা করে তার মধ্যে পুর ভরে দিন। তারপর মুখ
বন্ধ করে বেড়ে নিন লুচির আকারে গড়ে গোল করে বেলে নিন। তারপর কড়াইতে পরিনামমতো তেল দিয়ে
ডুবো তেলে ভেজে তুলুন।
সবজি দিয়ে সাবুর খিচুড়ি
উপকরণ-
সাবুদানা, গাজর, আলু সেদ্ধ ছোট চৌকো করে কাটা, ২-৩ টি কাঁচালঙ্কা, ১/২ টমেটো
কুচিঁ, ২টেবিল চামচ, ১চা চামচ আদাবাটা, স্বাদ অনুযায়ী লবণ, তেল/ঘি, স্বাদ মতো মিষ্টি,
হলুদ গুঁড়ো।
প্রণালী-
সাবু দানা ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। তারপর সাবুদানা জলে ভিজিয়ে প্রায় ২-৩ঘন্টা
ভিজিয়ে রাখুন রাখুন। তারপর জল ঝড়িয়ে রাখতে হবে। আলু সেদ্ধ করে কেটে নিন। টমেটো, গাজর
ছোট টুকরো করে কাটতে হবে। আদা বেটে নিন।
অন্যদিকে কড়াইতে ঘি/তেল দিয়ে গরম হলে জিরে ফোড়ন দিন। তারপর কারিপাতা
দিয়ে নেড়ে চেড়ে গাজর কুচি দিয়ে অল্প ভেজে আলু ও আদা কুচি দিয়ে ভাজতে হবে।সঙ্গে
স্বাদমতো লবণ দিন। টম্যাটো ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন। এবার সাবুদানা দিয়ে হালকা হাতে
নাড়তে হবে।ভাল করে সিদ্ধ হয়ে গেলেই সাবুর খিচুড়ি রেডি।