বাসন্তীপুজোই বাঙালির আসল দুর্গাপুজো। বসন্তকালে এই পুজো হয়। শরৎকালে
রামচন্দ্র যেভাবে দেবী দুর্গার আহ্বান করেছিলেন তা আসলে অকালবোধন। বসন্তকালে রাজা সুরথ
প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন। তাই এই পুজো বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত।
সুরথ দীক্ষা নিয়েছিলেন মেধা মুনির
আশ্রম থেকে। তিনি প্রথম দুর্গাপুজোর উদ্ভাবক বলে লিখিত রয়েছে শ্রী শ্রী চণ্ডীতে।
সুরথ ছিলেন একজন ক্ষত্রিয় বংশোদ্ভূত
রাজা। তিনি ছিলেন বিরাট বীর। সেই সঙ্গে প্রজাবৎসল শাসকও ছিলেন রাজা। ইতিমধ্যে দেশে
যবনদের আক্রমণ শুরু হল। তাঁদের সঙ্গে যুদ্ধ করে সুরথ পরাজিত হলেন। তাঁর রাজ্য
সম্পদ কিছুই আর রইল না। সভাসদরাও রাজার সঙ্গ ত্যাগ করল, যে যা পারল রাজদরবার থেকে লুটে নিল। যাদের বিশ্বাস করেছিলেন
তাঁদের কাছ থেকে আসা এমন আঘাতে মর্মাহত হলেন তিনি। তাই পথকে আপন করে বেরিয়ে পড়লেন
যেদিকে দু’চোখ যায়। সেইভাবেই পৌঁছান মেধা মুনির
আশ্রমে।
আরও পড়ুন: ওজন ঝরানোর জন্য আর কড়া ডায়েট নয়, ব্রেকফাস্টে রাখুন এই রেসিপি
আরও পড়ুন: ১২৪ বছর আগে তৈরি হয়েছিল বিশ্বের প্রথম মোটরসাইকেল
সেখানে থাকলেও রাজার মন পড়ে থাকত
রাজ্য,
প্রজাদের দিকে। না জানি কী দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছেন প্রজারা, প্রজাবৎসল রাজার মনে সব সময় এই চিন্তা। এমন এক দিনে সুরথের
সঙ্গে পরিচয় হল সমাধির। সমাধিক স্ত্রী ও পুত্র সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে তাঁকে তাড়িয়ে
দিয়েছেন। তবুও সমাধির মন কাঁদে স্ত্রী পুত্রের জন্য। ঋষি মেধা সব শুনে দু’জনকেই শোনালের দেবী মহামায়ার কাহিনি।
তারপরই বসন্তকালের শুক্লপক্ষে রাজা
সুরথ প্রথম আরাধনায় মাতলেন মহামায়ার। সেই হল বাংলার প্রথম দুর্গাপুজো যা পরবর্তীতে
নাম পেল বাসন্তী পুজোর।