সীতা ছাড়া ভগবান রামের নাম
অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রতিটি প্রেমের গল্পের মতোই জানকী এবং
রঘুনন্দনের মধ্যে মিলনও সহজ ছিল না। সীতাকে বিয়ে করার জন্য রামকে হরধনু ভঙ্গ করে
বীরত্বের পরিচয় দিতে হয়ছিল। এই হরধনুর
নাম ছিল পিনাক। শিবের এই ধনুকটি পরশুরাম রাজা জনককে দিয়েছিলেন। আজ রামনবমীর
প্রাকলগ্নে শিবধনু ভঙ্গ এবং রাম-সীতা বিবাহের সঙ্গে জড়িত ধনুশা ধাম মন্দির সম্পর্কে বলব।
ধনুশা ধাম মন্দির নেপালে অবস্থিত।
জনকপুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ধনুশায় একটি মন্দির রয়েছে যেখানে শিবের ধনুকের
একটি টুকরোর পূজা করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মিথিলার রাজা জনক প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি সীতাকে বিয়ে দেবেন সেই পুরুষের
সঙ্গে যে এই পিনাকপাণির হরধনু ভঙ্গ করতে পারবে। অতঃপর শ্রীরামচন্দ্র ধনুক ভঙ্গ
করেন। ধনুকটি তিনটি টুকরো হয়ে ভেঙ্গে যায়। শিবের
ধনুকের মাঝখানের অংশটি যেখানে পড়েছিল সেটি হল ধনুশা। ধনুকের টুকরো পড়ে যাওয়ার
কারণে ওই স্থানের নাম ধনুশা হয়।
ধনুশা ধাম সম্পর্কিত স্থানীয় জনগণের
বিশ্বাস,
শিব্যাড় ধনুকের মাঝখানের অংশটি যে স্থানে পড়েছে তার
মাঝখানে একটি পিপুল গাছ রয়েছে। সেই গাছের কাছে একটি কুণ্ড রয়েছে, যা ধনুশ কুণ্ড নামে
পরিচিত। এই ধনুশ কুণ্ডের জলের আকৃতি দেখেই অনুমান করা যায় এবারের ফসল কেমন হবে।
আরও পড়ুন: মহাদেবকে তুষ্ট করতে সোমবারের পূজায় মেনে চলুন এই নিয়মগুলি
আরও পড়ুন: ATK Mohun Bagan: শুভেচ্ছায় ভরিয়ে মোহনবাগান'কে বিরাট সার্টিফিকেট মমতার
শিব ধনুকের মাঝখানের অংশ সম্পর্কে
আরও বলা হয় যে এটি প্রতি ৫ থেকে ৭ বছরে অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, ধনুশা ধাম মন্দিরটিও বিখ্যাত কারণ এখানে এসে মানুষ সমস্ত
ধরণের আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাঁর জন্য অবশ্যই বোঝাই করা বেগুন
নিবেদন করতে হবে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ভক্তরা এসে এখানে প্রচুর বেগুন নিবেদন
করেন।
ভারতে রাম কারও ছেলে, কারও শিক্ষক, কারও ভাই, কারও বা বন্ধু। কিন্তু অযোধ্যাপতি
নেপালে একমাত্র জামাই। আসলে, জানকী মিথিলার
মানুষের কাছে কন্যার মতো, তাই তারা রামের মধ্যে জামাইয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান। আজও বিভা পঞ্চমীর
দিনে এখানে রাম-সীতার বিয়ে হয়।