নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে এমন একটি সময় ছিল যখন এটি নিলামে উঠেছিল। তাও একবার নয়, দু’বার। নোবেল নিলাম কেন করতে হল?

২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল নোবেল পুরস্কার নিলাম হয়। এরপর শিরোনাম হল ১১১ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনও নোবেল পুরস্কার নিলামে উঠল। তবে এটি দ্বিতীয়বার ছিল।

১৯৬২ সালে বিজ্ঞানী ডাঃ ফ্রান্সিস ক্রিক যিনি জীবের ক্রোমোজোমের গঠন (ডিএনএ) আবিষ্কার করেছিলেন। তাঁর পরিবার বিজ্ঞানীর নোবেল পদক নিলাম করে।

হেরিটেজ অকশন অনুসারে, নিলামটি ২০১৩ সালে প্রায় ১১.২৮ কোটি টাকা এর জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই পরিমাণ নিলামের জন্য আনুমানিক ৩.৫৫ কোটি টাকার চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

যারা এটি কিনেছিলেন তাঁর নাম জ্যাক ওয়াগ, সিলিকন ভ্যালি এবং সাংহাই ভিত্তিক একটি পুনর্জন্মমূলক চিকিৎসা প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: স্ত্রী শব্দ এল কোথা থেকে

আরও পড়ুন: আপনি কি জম্মু ও কাশ্মীর সম্পর্কিত এই ১০টি তথ্য সম্পর্কে জানেন

ডঃ ফ্রান্সিস ক্রিক এর স্বর্ণপদক সম্পর্কে বিশেষ জিনিস ছিল যে এতে তাঁর নাম খোদাই করা ছিল।

ডাঃ ক্রিক এর পরিবার বলেছে যে তারা পদকটি একটি জাদুঘর বা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল, যাতে এটি সাধারণ মানুষের জন্য রাখা যায়।

ক্রিক পরিবার বিশ্বাস করেছিল যে এটি নতুন প্রজন্মের মানুষ এবং বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করবে। তাঁরা বলেছিলেন যে এই নিলাম থেকে প্রাপ্ত পরিমাণের ২০ শতাংশ লন্ডনের ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউটের গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রোগের চিকিৎসা আবিষ্কৃত হবে। ২০১৩ সালের আগে, ২০১২ সালের নভেম্বরে নোবেল পুরস্কারটি প্রকাশ্যে নিলাম করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে, পদার্থবিদ্যায় নোবেল জয়ী Aige Niels Bohr এর পদক নিলাম করা হয়। এই কারণে প্রায় ৩৫.৫৩ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। তারপর এটাও বলা হয়েছিল যে একদিকে নোবেল পুরস্কারের নিলাম মানুষের মধ্যে হতাশার কারণ হতে পারে। কিন্তু অন্যদিকে এর ইতিবাচক দিকও রয়েছে। এর থেকে প্রাপ্ত অর্থ গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে।

২০১৪ সালে, জেমস ওয়াটসনকে তার নোবেল পুরস্কার নিলাম করতে হয়েছিল। তিনি একটি গবেষণাগারের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য তার নোবেল নিলাম করেছিলেন। ওয়াটস ছিলেন প্রথম জীবিত নোবেল বিজয়ী যিনি এটি করেছিলেন। ডিএনএ আবিষ্কারের জন্য ফ্রান্সিস ক্রিকের সাথে যৌথভাবে ১৯৬২ সালে তিনি নোবেল পান।

২০১৫ সালে, লিওন লেডারম্যান প্রায় ৫.৪৩ কোটি টাকায় তার নোবেল নিলাম করেছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ মেটাতে তিনি এমনটি করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পান।