শ্রাবণ মাস
ভোলানাথকে উৎসর্গ করা হয়। মহাদেব শিবলিঙ্গ সহ বহু রূপে পূজিত হন। শিবের এমনই একটি
রূপ হল অর্ধনারীশ্বর। ভগবান শিবের এই রূপে, শক্তিও তাঁর
সঙ্গে। বলা হয় যে ভগবান শিব ব্রহ্মার সামনে এই রূপ ধারণ করেছিলেন। শিব এবং
শক্তিকে একত্রে খুশি করতে, চন্দ্রমৌলীর অর্ধনারীশ্বর রূপের
আরাধনা করা হয়।
Maha Shivratri 2024: পার্বতীর সঙ্গে মহাদেবের বোনের সম্পর্ক ছিল একেবারে সাধারণ ননদ-ভাজের মতোই, কৈলাসেও চলেছিল ভয়ঙ্কর অশান্তি
অর্ধনারীশ্বর
রূপ মানে অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষ। ঈশ্বরের এই রূপ নির্দেশ করে যে পুরুষ এবং
মহিলা একই মুদ্রার দুটি পিঠ এবং উভয়ই একে অপরকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। নারী ও পুরুষ
ছাড়া সৃষ্টি কল্পনা করা যায় না।
পৌরাণিক
কাহিনী অনুসারে, ব্রহ্মাকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
ব্রহ্মা যখন ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির কাজ শুরু করলেন, তখন তিনি
জানতে পারলেন যে তাঁর এই সমস্ত সৃষ্টি জীবনের পরে ধ্বংস হয়ে যাবে এবং প্রজাপতি
ব্রহ্মাকে প্রতিবার নতুন করে সৃষ্টি করতে হবে। এইভাবে কীভাবে বিশ্ব গড়ে উঠবে তা
নিয়ে প্রজাপতির মনে দ্বিধা ছিল। অনেক চিন্তা ভাবনার পর ব্রহ্মা শিবের কাছে গেলেন।
চতুরাননের
অনুরোধে পঞ্চানন নর ও নারী উভয়ের উৎপত্তির জন্য এই রূপ ধারণ করেন। ভগবান শঙ্কর এই
রূপে ব্রহ্মাকে দর্শন দিয়েছিলেন। তাঁর দেহের অর্ধেক অংশে শিব অর্থাৎ পিরুষ রূপ
এবং অন্য অর্ধেকে শক্তিরূপ অর্থাৎ নারীরূপে দেখা গিয়েছিল। এই রূপ দেখিয়ে শিব ব্রহ্মাকে এক প্রজননশীল
প্রাণী সৃষ্টি করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।
Maha Shivratri 2024: আসবে আর্থিক ও মানসিক শান্তি দুই-ই, শুধু ঘরে মহাদেবকে সঠিক ভাবে রাখুন
এরপর
আদিশক্তি শিবের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন।
তিনি রাজা প্রজাপতি দক্ষের ঘরে কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করলেন। তারপর থেকেই সৃষ্টির সূচনা হল।