অন্নপূর্ণা হলেন খাদ্যের দেবী। তিনি মাতা পার্বতীর একটি রূপ, যাঁর মাধ্যমে
সমগ্র বিশ্ব পরিচালিত হয়। সৃষ্টি কেবল মা অন্নপূর্ণার কৃপায় পুষ্ট হয়। বিশ্বাস করা
হয় যে অন্নপূর্ণা জয়ন্তীতে উপবাস রেখে যিনি মা অন্নপূর্ণার আরাধনা করেন, তাঁর বাড়িতে
অন্ন ও অর্থের অভাব হয় না।
Annapurna Puja 2024: রান্নাঘরে এই সমস্ত কাজ করলে রুষ্ট হন মা অন্নপূর্ণা, জেনে নিন সেগুলি কী কী
কিংবদন্তি অনুসারে, একদা পৃথিবীতে খাদ্য ও জলের অভাব দেখা দেয়। বৃষ্টি
না হওয়ায় জমি অনুর্বর হয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে দেখা দেয় জীবন সংকট। খাবারের অভাবে মানুষ
ক্ষুধায় মারা যেতে থাকে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সবাই ব্রহ্মা ও বিষ্ণুর পূজা শুরু
করে। সর্বত্র ত্রাহি-ত্রাহি দেখে ঋষিরাও ব্রহ্ম লোক ও বৈকুণ্ঠধামে গিয়ে এই সমস্যার
সমাধান চান। অনেক চেষ্টা করেও যখন সমাধান পাওয়া গেল না, তখন সমস্ত দেব-দেবী শিবের
আশ্রয়ে গেলেন।
সমস্যা সমাধানের জন্য মাতা পার্বতীর সঙ্গে মহাদেব পৃথিবী দর্শনে যান। শিব
সন্ন্যাসীর রূপ ধারণ করেন এবং অন্নপূর্ণার রূপে পার্বতী পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। সমগ্র
বিশ্বের কল্যাণের জন্য ভোলানাথ মা অন্নপূর্ণার কাছে ভিক্ষা চেয়েছিলেন। তাঁর দান করা
জল ও অন্ন মানুষের মধ্যে বিতরণ করে মহাদেব মানবজাতির ভরণ-পোষণ সংকটের অবসান ঘতান। যেদিন
মা অন্নপূর্ণার রূপে পার্বতী আবির্ভূত হন, সেই দিনটি ছিল মার্গশীর্ষের পূর্ণিমা দিন।
সেই থেকে এই দিনটিকে দেবী অন্নপূর্ণার অবতার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
রামনবমীতে সূর্যতিলকে রেঙে উঠবেন রামলালা, ঘরে বসেই দেখতে পাবেন লাইভ টেলিকাস্ট
মা অন্নপূর্ণার ছবিতে শিবকে ভিক্ষা চাইতে দেখা যায়। দেবী অন্নপূর্ণা অন্নদা
ও শাকম্ভরী নামেও পরিচিত। অন্নপূর্ণা জয়ন্তী উদযাপনের উদ্দেশ্য হল মানুষকে শস্যের
গুরুত্ব বোঝানো। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে খাবারের অপমান করলে গৃহের লক্ষ্মী চলে যায়।