জ্যোতিষ
শাস্ত্র অনুসারে, শনির সাড়েসাতি একজন ব্যক্তির জীবনে তিনবার আসে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে শনিকে কর্মফলদাতা বলা
হয়। সাড়েসাতির সময় শনি শাস্তিদাতা হয়ে ব্যক্তিকে তার কৃতকর্মের ফল দান করেন।
এই সব বদঅভ্যাস একদম পছন্দ করেন না মা লক্ষ্মী, যার জেরে সংসারে অমঙ্গলের ছায়া নেমে আসে
যদিও
রাশিচক্রের ১২টি রাশিই শনির সাড়ে সাতি দ্বারা প্রভাবিত হয়, তবে মেষ এবং বৃশ্চিক রাশির
মানুষেরা শনিদেবের সাড়ে সাতিতে বেশি ভোগেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মেষ-বৃশ্চিক রাশি হল মঙ্গল গ্রহের রাশি। মঙ্গল ও শনি শত্রু গ্রহ। এই কারণেই
শনির সাড়ে সাতি মেষ ও বৃশ্চিক তাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক।
শনির সাড়ে
সাতির সময় মেষ ও বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। টাকা
হারানো, সম্পর্কে ফাটল, হামলা,
মাদকাসক্তি ইত্যাদির মতো অনেক
সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
The Buddha: গৌতম বুদ্ধের জীবনের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায় ভারতের এই সব স্থানে, দেরি না করে ঘুরে আসুন
শনি
আধ্যাত্মিক আচরণ পছন্দ করেন। যারা বয়স্ক,
নারী,
শ্রমিকদের ক্ষতি করে, আমিশ খাবার খান, কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে
এবং অনৈতিক কাজ করে তাদেরকে শনির সাড়ে সাতিতে আর্থিক,
মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হতে হয়।
শনি সাড়ে সাতি
আড়াই বছর করে তিনটি পর্বে বিভক্ত থাকে। শনির সাড়ে সাতির প্রথম ধাপে ব্যক্তি
আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন, দ্বিতীয় ধাপে কর্ম সমস্যা ও পারিবারিক
জীবনে প্রভাব পড়ে এবং তৃতীয় ধাপের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়।