পুরাণে ভবিষ্যদ্বাণী
করা হয়েছে যে শ্রী বিষ্ণু কলিযুগের শেষ পর্বে মানব অবতার গ্রহণ
করবেন। তাঁর সেই অবতারের নাম কল্কি অবতার। যিনি
সাদা ঘোড়ায় চড়ে ধরাধামে আসবেন। পুরাণ অনুসারে, কলিযুগের
শুরু থেকে মাত্র কয়েক হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। অথচ এই
যুগ ৪৩২,০০০ মানব-বছরের। আধুনিক সময়-গণনা অনুসারে, কলিযুগ
৩১০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে শুরু হয়েছিল, সেই সময় পঞ্চ গ্রহ মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি,
শুক্র এবং শনি মেষ রাশি 0
ডিগ্রিতে ছিল।
পণ্ডিতদের অভিমত যে
এখন পর্যন্ত ৩১০২+২০২৩=৫১২৫ কলিযুগের বছর
অতিক্রান্ত হয়েছে। কলিযুগ শেষ হতে এখনও ৪,২৬,৮৭৫
বছর বাকি।
Shani Dev: শনিদেবের সামনে নির্ভয়ে তির ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই বীর মনুষ্য, কে ছিলেন তিনি
Health Tips: সাবধান! প্রতিদিনের এই ৫টি অভ্যাস আপনাকে ঠেলে দিচ্ছে উদ্বেগের দিকে, সচেতন হন আজই
ধর্মগ্রন্থে
উল্লিখিত বিশ্বচক্রের অন্য তিনটি যুগের পরে আসা কলিযুগকে সবচেয়ে খারাপ বলে মনে
করা হয়। এই যুগে ধর্ম বিলুপ্ত হয় এবং অশুভত্ব বাড়তে থাকে। এই যুগে পৃথিবীতে
মানুষের থেকে শ্রেষ্ঠ আর কোনও প্রাণী নেই। ঈশ্বর-দানব, যক্ষ, গন্ধর্ব
প্রভৃতি পৃথিবীতে বাস করবে না, কিন্তু মানুষ তাদের কর্ম অনুসারে জীবন
যাপন করবে। তাই যখন একজন ব্যক্তি ভাল কাজ করে তখন সে হয়ে যায় ঈশ্বর সম। কুকর্মে
লিপ্ত,
অহংকারী
ও পাপী মানুষকে দানব বলা হয়।
মহাভারতে মহর্ষি
বেদব্যাস হাজার বছর আগে কলিযুগ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। মহর্ষির মতে, এই
যুগে মানুষের মধ্যে বর্ণ ও আশ্রম সংক্রান্ত প্রবণতা থাকবে না। যারা বেদের অনুসরণ
করবে তারা থাকবে না। এমনকি বিয়েও ধর্ম হিসেবে গণ্য করা হবে না। শিষ্য গুরুর অধীন
থাকবে না।