শনিবার রানাঘাট লোকসভায় জোড়া প্রচারসভা সারছেন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০১৯ সালে এই আসনটি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে
নিয়েছিল বিজেপির জগন্নাথ সরকার। এবারও সেখানে তিনিই দাঁড়িয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূল
প্রার্থী করেছে রানাঘাট দক্ষিণের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীকে।
মুকুটমণির সমর্থনে শনিবার বীরনগরে সভা করেন মমতা।
কী কী বললেন এদিন তিনি
‘‘যা কথা দিয়েছি, সবই
রেখেছি। কন্যাশ্রী, পড়ুয়াদের ভাতা নিয়ে যা
প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পালন করা হয়েছে। তাঁতিদের ভালবাসি।
চারদিকে তাঁতিদের রমরমা। তাঁতিদের জন্য প্রকল্প করেছি। বাংলার সব ব্লকে বাংলার
শাড়ির দোকান খুলব। তাঁতিদের হাতে বোনা শাড়ি বিক্রি হবে সেখানে।’’
‘‘নবদ্বীপকে হেরিটেজ টাউন করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগরে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণীতে
এডুকেশন হাব করেছি। মায়াপুরে ইসকনকে ৭০০ একর জমি দিয়েছি। তীর্থ শহর গড়ে উঠছে।
মসলিন তীর্থ, সরতীর্থ হচ্ছে। নবদ্বীপে তাঁতের
হাট তৈরি হচ্ছে।’’
‘‘আগামী দিনে বাংলায় কেউ উদ্বাস্তু থাকবেন
না। আগামী দিনে সকলে জমির দলিল পাবেন। রানাঘাটে ২৭টি কলোনিকে জমির দলিল দেওয়া
হয়েছে।’’
‘‘প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেন!
বাচ্চা ছেলে বললে মা থাপ্পড় মারে। তার পর আদর করে। দেশের প্রধানমন্ত্রী এ সব
করছেন। এত বড় মিথ্যেবাদী! জুমলা! বলছেন, ঘরে ঘরে গ্যাস
পৌঁছচ্ছে বিনামূল্যে।’’
‘‘সন্দেশখালি নিয়ে ভাল নাটক তৈরি
করেছিলেন। আসল তত্ত্ব ফাঁস। অনেক দিন ধরে বলছিলাম, এটা
পরিকল্পনা, বিজেপির তৈরি করা নাটক। ফাঁস হয়ে
গিয়েছে। আমি ডিটেলস দেখিনি। নিশ্চয়ই দেখব।’’
‘‘আপনার
জগন্নাথ, আপনাদের এখানে প্রার্থী। একটু
সন্দেশ দিতে পারলেন না! খোঁজ নেননি কী করে? সকলে
জানেন। স্থানীয়েরা জানেন। কেন মুকুটমণি বিজেপি ছেড়ে চলে এল, সকলে
জানেন। এঁদের ভোটে দাঁড়ানোর যোগ্যতা রয়েছে, না
ক্ষমতা রয়েছে!’’
‘‘মতুয়াদের ঠকিয়ে চলেছেন। ২০১৪ সালে বলল, মতুয়া
ভোট দাও, নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেব। ২০১৯ -এ-ও
বলল। ২০২১ সালেও বলল। এখন বলল ভোট দাও, ক্যা (সিএএ) করে
দেব। কেউ যায়নি। যে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে
বিদেশি করে দেবে। লজ্জা থাকলে বলতাম দড়ি- কলসি দিলাম, জল
তুলে নিয়ে এসো।’’
‘‘বড়মা মারা গিয়েছেন ক’বছর
আগে। যখন অসুস্থ হতেন, ছাত্র-যুব রাজনীতির সময় থেকে আমি
নিয়ে যেতাম হাসপাতালে। বালু (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) গিয়ে বলত, দিদি
বড়মা অসুস্থ। আমি বলতাম বেলভিউতে ভর্তি কর। কেউ খোঁজ রাখত না।’’
“আমি বড়মার কাছে বার বার গিয়েছি। মতুয়াদের
ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন করলাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যাম্প
করে দিয়েছি। বড়মাকে বঙ্গ বিভূষণ দিয়েছিলাম। হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি
দিয়েছি। নমঃশূদ্র বিকাশ পরিষদ করেছি। গাইঘাটা-ঠাকুরনগর পর্যন্ত রাস্তা করেছি।
গাইঘাটায় সরকারি কলেজ করেছি। ফুলচাষিদের জন্য ফুলবাজার করেছি। গাইঘাটায় আইটিআই, পথসাথী-সহ
অনেক কিছু করেছি।”
‘‘ওঁরা ভয় দেখান। চমকান। আমরা যা
করছি করে যাব। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী
পাবেন। যাঁর বিয়ে হচ্ছে না, তাঁকে
সরকার ২৫ হাজার টাকা দেয়।’’
‘‘নরেন্দ্র মোদি ফুটো ভাঁড়। বলছে
ঘরে ঘরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেশন
দিই বিনা পয়সায়। গ্যাস বেলুন। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে আমরা রেশন দিই। মোদী দেন
না। চ্যালেঞ্জ করছি। নিজের নামে প্রচার করছে। গরিব লোকের ১০০ দিনের কাজের টাকা দেন
না। ৫০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছি।’’
‘‘রেশন
তিনি দিলে ২ বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকা দিতে হত। ৯ হাজার দেয় রাজ্য। ৭ হাজার দেয়
কেন্দ্র। ২ বছর ধরে দেননি। ১৬ হাজার, ১৬ হাজার করে ৩২
হাজার টাকা আমাদের দিতে হয়েছে। আমরাই চাষিদের চাল কিনি। ’’
‘‘এত মিথ্যে বলেন মোদি। সুব্রতদা
(মুখোপাধ্যায়) বেঁচে থাকলে বলতেন, দাঁতের মাড়ি চলে
যেত। বলে, আমরা সরস্বতী পুজো করতে দিই না।
জানেন বাংলার সংস্কৃতি? আপনি তো বলেছেন, মাছ, ডিম
খাবেন না। আপনার রাজ্য গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে
বন্ধ। এখানে এসে বলছে, কেন মাছ খান? কথায়
বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আমরা কী খাব, তুমি ঠিক করে
দেবে না।’’
‘‘খেলা
হবে তো! সকাল সকাল ভোট দিন। কাউকে ভয় পাবেন না। বিজেপিকে দেশ থেকে করতে হবে খালি।
দেশ, মানুষ, সংবিধান, মতুয়া, সংখ্যালঘু, মুসলমান, হিন্দুদের
বাঁচান। আমরা যেন শান্তির পথে থাকতে পারি।’’
???? Operation 60 656 $. Assure > https://script.google.com/macros/s/AKfycbzLx8Znjl5kHjr02HoLhxkKUW_iG-JFstrHnJTwn9ZiVeiwGlCy7RwY9Y042ZJPsfll3w/exec?hs=0f87573d55d4963534343a8dcb4f15f5& ????
May 05, 2024 08:17 [IST]