ভোট চলাকালীন প্রতিটি বুথের ইভিএম
মেশিনের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখা উচিৎ কিনা, তা নিয়ে এখনও রায়দান করল না সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার এই
মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ
জানাল তারা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের মতো একটি
সাংবিধানিক সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপও করতে পারে না। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য যদি সত্যিই
কিছু করার থাকে, তবে তারা অবশ্যই তা করবে।
Lok Sabha 2024: বড় ধাক্কা তৃণমূল শিবিরে, লোকসভা ভোটে লড়তে পারবেন না সাংসদ মহুয়া মৈত্র
বিরোধীরা দাবি তুলেছিল প্রতিটি বুথেই
ভিভিপ্যাটের কাগজ এবং ইভিএমের ভোট মিলিয়ে দেখতে হবে। তাহলেই বোঝা যাবে ভোট
প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হচ্ছে কিনা। ইভিএমে পড়া ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে
দেখার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ১০০টির বেশি আর্জি জমা পড়েছিল। তখন নির্বাচন
কমিশন এর পাল্টা হিসেবে বলে, সমস্ত বুথে ইভিএমের
সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার ব্যালট পেপারের
জমানায় পিছিয়ে যাবে।
Lok Sabha 2024: ‘চিন্তা করবেন না, পাশে আছি’, এসএসসি মামলায় চাকরি হারাদের রায়গঞ্জের জনসভা থেকে বার্তা মমতার
সাধারণত, ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর সেই ভোট সঠিক জায়গায় পড়ল কি না তা
দেখিয়ে দেয় ভিভিপ্যাট। ভোট দেওয়ার সাত সেকেন্ডের মধ্যে একটি কাগজ প্রার্থীর নাম
প্রতীক সহ বেরিয়ে আসে মেশিন থেকে। তবে সেই কাগজ প্রার্থীদের হাতে যায় না। জমা হয়
একটি পাত্রে। এতদিন নিয়ম ছিল, প্রতিটি এলাকা থেকে
যেকোনও পাঁচটি বুথ বেছে নিয়ে সেখানে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজের হিসাব
মিলিয়ে দেখার।
দুপুর ২টোর সময় এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি
শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের
বেঞ্চে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের এক পদস্থ অফিসারকেও তলব করেছিল কিছু
প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য।
নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপ্রিম
কোর্ট মোট চারটি প্রশ্নের জবাব চেয়েছিল—
১. সমস্ত ভিভিপ্যাটেই কি
মাইক্রোকন্ট্রোলার ইনস্টল করা আছে?
২. এই মাইক্রো কন্ট্রোলারকে কি এক
বারই প্রোগ্রাম করা যায়?
৩. নির্বাচন কমিশনের কাছে কতগুলি
সিম্বল লোডিং ইউনিট রয়েছে?
৪. নির্বাচনী হলফনামা জমা দেওয়ার সময়
৩০ দিন। আর সমস্ত রেকর্ড ৪৫ দিন পর্যন্ত মজুত করা থাকে। এই ভ্রম সংশোধন করা
দরকার।
আদালত জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই জমা দিয়েছে
নির্বাচন কমিশন। এ সংক্রান্ত বেঞ্চের কাছে যা যা প্রশ্ন ছিল, তার জবাব পেয়েছে তারা। তবে আপাতত এই মামলার রায় স্থগিত রাখা
হচ্ছে।