পূর্ব বর্ধমানের
কেতুগ্রাম ১ ব্লকের পালিটা পঞ্চায়েতের ৯০ জন চাষী বাকি ছয় লক্ষ টাকা শোধ করে
মুক্তি পেয়েছেন পাহাড় প্রমাণ বিদ্যুৎ বিল থেকে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে এই
চাষীদের বিদ্যুতের বিল মুকুব করা হয়েছে সরকারের নির্দেশে। স্থানীয় সূত্রে খবর, কেতুগ্রাম
১ নম্বর ব্লকের পালিটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাণ্ডারগড়িয়া, কুলাই,
গণকুল, বাকলসা প্রভৃতি গ্রামের মাঠে ২৫০টি
জমিতে চাষ করা হত সাব মার্সিবলের সাহায্যে।
সাব মার্সিবলের জল ব্যবহার করে চাষের কাজ করতেন ৯০ জন কৃষক। প্রতি
মাসের শেষে তারা একসাথে মিটিয়ে দিতেন বিদ্যুতের বিল। প্রায় ৪০ বছর আগে চাষের
কাজে জলের জন্য সাব মার্সিবল বসানো হয়। তবে আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগে অজয়
নদীতে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। এই বন্যার ফলে বিঘার পর বিঘা জমিতে জমে যায় পলি।
জমিতে পলি জমে চাষের অযোগ্য হয়ে যায় সেগুলি।
এরপর চিরতরে চাষ বন্ধ হয়ে যায় ওই জমিগুলিতে। চাষের কাজ বন্ধ হয়ে
যাওয়ার পরেও কাটা হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। এর ফলে প্রতি মাসেই আসতে থাকে ন্যূনতম
বিদ্যুৎ বিল। সর্বশেষ বিদ্যুতের বিল দাঁড়ায় প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। এর উপর সুদ
যুক্ত হয়ে সেই বিলের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ লক্ষ টাকায়। গরিব চাষিরা কীভাবে এত
পরিমাণ বিদ্যুতের বিল মেটাবেন সেটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সমস্যার সমাধান হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। ৯০ জন চাষীর বকেয়া ২৯ লাখ ৮৪
হাজার ৯৬৮ টাকা বিলের মধ্যে ২৪ লক্ষ টাকার বিল মুকুব করে দিয়েছে সরকার। ৫ লক্ষ ৮৭
হাজার ২২২ টাকা বিল মেটাতে হয়েছে চাষীদের।