শ্রদ্ধেয় বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাঙালির শনিবারের ভোর।  বঙ্গজনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে মহিষাসুরমর্দিনী এবং এই কণ্ঠ। অথচ এক বছর তাঁর স্তোত্রপাঠ শোনা যায়নি অল ইন্ডিয়া রেডিও থেকে। সেবার চণ্ডীপাঠ করেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। ১৯৭৬ সালে আকাশবাণীতে মহিষাসুরমর্দিনীর জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘দেবীং দুর্গতিহারিণী’।

Mahalaya 2023: বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছিল ভারতের প্রথম স্বাধীনতা দিবসের ধারাবিবরণীও

Durga Puja 2023: ঝোল বা কষা নয়, দুর্গাপুজোয় বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন দক্ষিণী চিকেন ঘি রোস্ট

উত্তম কুমার তখন মধ্যগগনে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণের বদলে চণ্ডীপাঠের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। তিনি সে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের প্রযোজনায় ছিল আকাশবাণী। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। উত্তম কিন্তু তাঁর বীরেন’দার অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠান করতে রাজি হননি। এদিকে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন বরাবরই নতুনদের জায়গা করে দেওয়ার পক্ষপাতি। তাই স্বাভাবিকভাবেই তিনি খুশি হয়েছিলেন উত্তম কুমার অনুষ্ঠানটি করবেন জেনে। 

সেই প্রথম এবং সম্ভবত এক ও অদ্বিতীয় ঘটনা যেখানে বাঙালি তাদের প্রিয় ম্যাটিনি আইডলকে গ্রহণ করেনি। রেগে আগুন হয়েছিল আপামর বাঙালি। সম্প্রচারের পর থেকেই শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। ফোনের ওপার থেকে বহু অভিযোগ আসতে থাকে আকাশবাণীর অফিসে। অনেকেই অফিসের সামনে গিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। জুতো থেকে চিঠি, দুই-ই এসেছিল সেদিন অল ইন্ডিয়া রেডিওর অফিসে। কাতারে কাতারে বিক্ষুব্ধ জনগণ দাবি তোলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রকে ফিরিয়ে আনার। বাঙালির আবেগকে অস্বীকার করতে পারেনি আকাশবাণী। বিপাকে পরেই বাধ্য হয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অনুষ্ঠান পুনরায় সম্প্রচার করা হয়। মহাষষ্ঠীর দিন সকালে আকাশবাণী সম্প্রচার করে মহিষাসুরমর্দিনী।