রাশিয়ার নাম এলেই সবার আগে মাথায় আসে রাজ কাপুরের গান, “মেরা জুতা হ্যায় জাপানি, ইয়ে পাতলুন ইংলিশতানি। সর পে লাল টুপি রুশি, ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানী।” শুধু তাই নয়, রাশিয়া আমাদের ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অংশীদার। ‘লাল টুপি’ সারা বিশ্বকে কোনও না কোনওভাবে প্রভাবিত করেছে রাশিয়া। এই বিষয়টি মাথায় রেখে, আমরা আপনাকে রাশিয়া সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্যের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যা রাশিয়াকে ইউরেশিয়ার প্রাণকেন্দ্র বলে প্রমাণ করে।
১. রাশিয়ার (মস্কো) ধনী ব্যক্তিরা যানজট এড়াতে নকল অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে।
২. রাশিয়ায় পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ রাশিয়া নারী অধ্যুষিত দেশ।
৩. রাশিয়ানদের এক-তৃতীয়াংশ বিশ্বাস করে যে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। রাশিয়ায় এমন মানুষও আছেন যারা মহাকাশে প্রথম বিমান পাঠিয়েছিলেন।
৪. আজও রাশিয়ায় অনেক লুকানো শহর রয়েছে। রাশিয়ার মধ্যে এমন অন্তত ১৫টি শহর রয়েছে যা সারা বিশ্ব থেকে গোপন রাখা হয়েছে।
৫. নোংরা গাড়ি চালানো রাশিয়ায় অপরাধ। যে সমস্ত ভারতীয়রা কখনই তাদের গাড়ি ধোয় না, এই খবরটি বিশেষ করে তাদের জন্য।
৬. রাশিয়ার ২৫ শতাংশ মানুষ ৫৫ বছর বয়সের আগেই মারা যায়। এর একটা বড় কারণ ভডকা সেবন বলে মনে করা হয়। প্রসঙ্গত, ভডকা শব্দটি রাশিয়া থেকে এসেছে। রাশিয়ান ভাষায় ভড মানে জল।
৭. রাশিয়ায় একসময় দাড়ির উপর কর ধার্য হত। জার পিটার দ্য গ্রেটের শাসনামলে এখানে দাড়ির উপর কর ছিল।
৮. রাশিয়ার বাড়িতেও শিয়াল বাস করে। ব্যাপারটা ভীতিকর হলেও এটাই সত্যি। ১৯৫৯ সাল থেকে, রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা শিয়াল লালন-পালন করেন।
৯. আমেরিকা রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা পর্বত কিনেছে। ১৮৬৭ সালে আমেরিকা আলাস্কা পর্বতের পরিবর্তে রাশিয়াকে মাত্র ৭.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়েছিল।।
১০. সমকামীরা বিশ্বের একটি অংশ এই কথা রাশিয়ায় শিশুদের বলা অবৈধ।
১১. রাশিয়ায় প্রতি বছর প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ অ্যালকোহল সেবনের কারণে মারা যায়। এটি তিক্ত হলেও সত্য।
১২. রাশিয়ার ৭৭ শতাংশ সাইবেরিয়ায় রয়েছে। এখানে তাপমাত্রা সবসময় মাইনাসে থাকে।
১৩. আয়তনের দিক থেকে রাশিয়া প্লুটোর থেকেও বড়। রাশিয়া জনসংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে আছে, এর পাশাপাশি এটি আয়তনের দিক থেকেও শীর্ষে রয়েছে।