প্রাচীন ভারতের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবময়। তখন ভারত শুধু অর্থনৈতিক উন্নতিই
করছিল না, শিক্ষার ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হচ্ছিল। প্রাচীন ভারতে এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ছিল যেখানে শুধু ভারতীয়রাই নয়, বিদেশীরাও শিক্ষার জন্য আসতেন। তৎকালীন বহু শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের জনপ্রিয়তা বিদেশেও ছিল। এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাব প্রাচীন
ভারতের এমনই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কথা যা সেই সময়ে শিক্ষার জন্য বিশ্বে বিখ্যাত ছিল।
তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়- তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়
ছিল বর্তমান পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত। ইতিহাসে তক্ষশীলার খ্যাতি তার
মহান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারণে। বৌদ্ধ সাহিত্য অনুসারে, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি চিকিৎসাবিদ্যা
এবং তিরন্দাজ শিক্ষার জন্য বিখ্যাত ছিল। এখানে ছাত্র-ছাত্রীরা দূর-দূরান্ত থেকে পড়তে
আসত, যার মধ্যে শুধু রাজা-রাজরা নয়, সাধারণ মানুষও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কোশলের রাজা প্রসেনজিৎ,
বিম্বিসারের রাজচিকিৎসক জীবক, কনিষ্কের রাজচিকিৎসক চরক এবং বৌদ্ধ পণ্ডিত বসুবন্ধু তক্ষশীলা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেছিলেন। এগুলি ছাড়াও, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মন্ত্রী
চাণক্য, যিনি মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনিও তক্ষশীলা
থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: Ramayana: রামায়ণের সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি রহস্য যা বিশ্ব এখনও জানে না
আরও পড়ুন: Nale Ba: নালে বা! ভারতের এক অশরীরীর কাহিনি যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়-
পঞ্চম
শতাব্দীতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় বিহারে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এর
জন্য কুমার গুপ্ত জমি দান করেছিলাম। তিনি ছাড়াও অন্যান্য গুপ্ত শাসকরাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে
দান করেছিলেন। অনেক বিদেশী ছাত্র বিশেষ করে চিন থেকে আসা পর্যটকেরা এখানে শিক্ষা লাভ
করেছিল।
বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়-
বিক্রমশিলা
বিশ্ববিদ্যালয় অষ্টম শতাব্দীতে বিহারের ভাগলপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পাল রাজবংশের
শাসক ধর্মপাল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। পাল রাজবংশের শাসকদের শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত ঝোঁক
ছিল। এই কারণেই পাল রাজবংশের শাসনামলে ওদন্তপুর মহাবিহারেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠিত
হয়েছিল।