প্রচলিত
বিশ্বাস অনুযায়ী কৈলাস পর্বতে বসবাস করেই মহাদেব একাধিক স্থানে আকাশ পথে ভ্রমণ
করেন। কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে মর্ত্যের যে স্থানে মহাদেব পা রেখেছেন, সেখানেই তাঁর পদচিহ্ন রয়ে গিয়েছে।
Maha Shivratri 2024: বিশ্বে নৃত্যের সূচনা হয়েছিল তাঁর হাত ধরে, শিবরাত্রির পুণ্যতিথিতে রইল শিবশম্ভূর কিছু কথা
উত্তরাখণ্ডের
আলমোড়া থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূপে জাগেশ্বর মন্দিরের পাহাড়ে প্রায় সাড়ে ৪
কিলোমিটার দূর জঙ্গলে এমন একটি স্থান রয়েছে, যেখানে শিবের পদচিহ্নের
সাক্ষাৎ দর্শন করা যায়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী পাণ্ডবরা স্বর্গ যাত্রার সময় মোক্ষ
প্রদানের জন্য তাঁদের দর্শন দেন মহাদেব। শিব দীর্ঘ দিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তার পর
শিব ভীম ও অন্য পাণ্ডবদের প্রস্থান করতে বলেন। পাণ্ডবরা তাতে সম্মত হলেন না। শিবের
সান্নিধ্য লাভের কামনা করেন। কিন্তু শিব তখন কৈলাস পর্বতে গিয়ে ধ্যানমগ্ন হতে
চাইছিলেন। এমন সময় শিব ভীমকে বিশ্রাম করতে বলেন এবং তাঁর চোখে ধুলো দিয়ে কৈলাস চলে
যান। যেখান থেকে তিনি কৈলাসের জন্য প্রস্থান করেন,
সেখানেই তাঁর একটি পায়ের
চিহ্ন রয়েছে। নিজের দ্বিতীয় পা তিনি কৈলাস মানসরোবর ক্ষেত্রে রাখেন। এখানে তাঁর
পায়ের চিহ্ন ১ ফুট লম্বা।
শিবের ১০৮ নাম জপ করুন শিবরাত্রিতে, হবে মনোস্কামনা পূরণ
শ্রীলঙ্কার
একটি পাহাড়েও শিবের পদচিহ্ন রয়েছে বলা জানা যায়। ইংরেজ শাসনকালে গৌরী শঙ্কর
পর্বতের নাম পরিবর্তন করে অ্যাডামস পিক রেখে দেওয়া হয়। তবে এর পৌরাণিক নাম আসলে
রত্ন দ্বীপ পাহাড়। এই পাহাড়ে একটি মন্দির রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এখানে
শিবের পায়ের চিহ্ন বর্তমান। তাই এই স্থানটি সিবানোলীপদম বলা হয়। সিবানোলীপদম
অর্থাৎ শিবের প্রকাশ। এই পদচিহ্ন ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা এবং ২ ফুট ৬ ইঞ্চি চওড়া।
২২২৪ মিটার উঁচুতে উপস্থিত শ্রীপদ দর্শনের জন্য প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়।
তামিলনাড়ুর
থিরুবেঙ্গডু ক্ষেত্রে শ্রীস্বেদারণ্যেশ্বর মন্দির বর্তমান। এখানে শিবের পদচিহ্ন
রুদ্র পদম নামে ভূষিত।