Rath Yatra 2023: জগন্নাথ পুরীর মন্দিরের এই পাঁচ রহস্যের সমাধান আজও হয়নি
Jun 08, 2023 16:52 [IST]
Last Update: Jun 08, 2023 16:52 [IST]
বদ্রীনাথ ধামকে বিশ্বের রক্ষক ভগবান বিষ্ণুর
অষ্টম বৈকুণ্ঠ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর জগন্নাথ ধামকে
পৃথিবীর বৈকুণ্ঠ রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ওড়িশার
উপকূলীয় শহর পুরীতে অবস্থিত এই বিশ্ব বিখ্যাত মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুর অবতার জগন্নাথদেবকে উৎসর্গ করা হয়েছে। পুরীর এই পৌরাণিক মন্দিরটি নিজগুণেইঅলৌকিক। ৮০০ বছরেরও বেশি
পুরানো এই পবিত্র মন্দিরের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন অনেক
রহস্যময় এবং অলৌকিক জিনিস রয়েছে যা আজও অবাক করে। এমনকি
বিজ্ঞানের কাছেও এর উত্তর নেই।
সাধারণত দিনের বেলা বায়ু সমুদ্র থেকে স্থলের দিকে এবং সন্ধ্যায় স্থলের থেকে সমুদ্রের দিকে চলাচল করে। পুরীতে এই
প্রক্রিয়াটি বিপরীত। সচরাচর মন্দিরের পতাকা বাতাসের দিকে ওড়ে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পতাকা যেদিকে বাতাস বইছে তার উল্টো দিকে ওড়ে।
কথিত আছে যে জগন্নাথ মন্দিরে বিশ্বের সবচেয়ে বড়
রান্নাঘর রয়েছে। রান্নাঘরের রহস্য হল এখানে ঈশ্বরের নৈবেদ্য রান্নার জন্য সাতটি
পাত্র একটির উপর একটি ভাবে রাখা হয়। এই পাত্রগুলি মাটির তৈরি
হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল, সবচেয়ে উপরে যে পাত্র রয়েছে সেটির
রান্না সবার আগে হয়, সবার শেষে হয় একেবারে নীচের পাত্রের রান্না।
লক্ষাধিক ভক্ত এলেও প্রসাদ কখনও কম পড়ে না, নষ্টও হয় না। মন্দির
বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রসাদও শেষ হয়ে যায়।
মন্দিরের ছায়া পড়ে না
জগন্নাথ মন্দির প্রায় চার লক্ষ বর্গফুট এলাকা নিয়ে গঠিত। এর উচ্চতা ২১৪ ফুট। যে কোন বস্তু বা মানুষ, পশু বা পাখির ছায়া পড়া বিজ্ঞানের নিয়ম। কিন্তু বিশ্বরক্ষক জগন্নাথের মন্দিরের উপরের অংশ
বিজ্ঞানের এই নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে। এখানে মন্দিরের চূড়ার ছায়া সবসময়ই অদৃশ্য
থাকে।
১২ বছর অন্তর মূর্তি পরিবর্তিত
হয়
এখানে প্রতি ১২ বছর অন্তর জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার
মূর্তি পরিবর্তন করা হয়। প্রতিমা পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়া সম্পর্কিত একটি
আকর্ষণীয় উপাখ্যানও রয়েছে। মন্দিরের চারপাশে সম্পূর্ণ অন্ধকার থাকে, শহরের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। মন্দিরের
বাইরে সিআরপিএফ নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়। যে পুরোহিত
মূর্তি পরিবর্তন করেন তাঁকেই শুধু
মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
মন্দিরে পাখি বসে না
সাধারণত মন্দির, মসজিদ বা বড় বড়
দালানে পাখিদের বসতে দেখা যায়। কিন্তু পুরী মন্দিরের উপর দিয়ে কখনও বিমান ওড়ে না বা মন্দিরের চূড়ায় পাখি বসে না। ভারতের অন্য কোনও মন্দিরে এমনটি দেখা যায়নি।