পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য
পশুপাখি থাকা খুবই জরুরি। পশু ছাড়া মানুষের জীবন অসম্পূর্ণ বললে ভুল হবে না। আজকে
আমরা শুধু প্রাণীদের নিয়েই কথা বলব।
মানুষের মতো, প্রতিটি প্রাণীরও নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বলা হয়, সাগরের যে কোনও গতিবিধি সম্পর্কে মাছই প্রথম জানতে পারে।
তবে এর কতটা সত্য আর কতটা মিথ্যে, তাও হয়ত শুধু
মৎস্যকূলই জানে। না জানি প্রাণীদের নিয়ে এমন কত মিথ আছে, যেগুলি আমরা বছরের পর বছর ধরে সত্য বলে বিশ্বাস করে আসছি।
আজ আমরা আপনাকে প্রাণী সম্পর্কিত এমনই কিছু মিথ সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি, যা শুনতে মিথ্যে মনে হলেও সেগুলি ১০০% সত্য।
১) কুমিরের কান্না
'কুমিরের কান্না' প্রবাদটি ভারতে খুব বিখ্যাত। এর অর্থ কৃত্রিম কান্না।
কিন্তু এই কথাটি সত্য। এই বিষয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের মতে, কুমির যখন তার শিকারকে খায়, তখন তার চোয়ালের উপর চাপ পড়ে, যার ফলে তার চোখ থেকে তরল বের হতে থাকে। তাই বলা হয় কুমির তার শিকার খাওয়ার
সময় কাঁদে।
Vastu Tips: ভুলেও বাড়িতে রাখবেন না এই সমস্ত জিনিস, তাহলে সুখের থেকে বিপদ আসবে বেশি
২) পশু-পাখিরা ভূমিকম্পের বিপদ বুঝতে
পারে
প্রাচীন গ্রিক গল্পে এমন অনেক প্রমাণ
রয়েছে,
যা প্রমাণ করে যে অনেক পশু-পাখি আগে থেকেই ভূমিকম্প
সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে। বিজ্ঞানীরাও এই গ্রিক গল্পের সঙ্গে একমত বলে মনে হয়।
বিজ্ঞানীরা এর পিছনে যুক্তি দেন যে পশু-পাখিরা সহজেই বায়ুমন্ডলে সামান্যতম
নড়াচড়া এবং অক্সিডেশন অনুভব করতে পারে।
৩) আরশোলা মাথা ছাড়া বাঁচতে পারে
একজন ব্যক্তির মাথা শরীর থেকে
বিচ্ছিন্ন হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তবে
আরশোলার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। জানলে অবাক হবেন, শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরেও আরশোলা
কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
৪) মানুষের চেয়ে হাতির স্মৃতিশক্তি
বেশি
এখনও পর্যন্ত হাতি নিয়ে অনেক গবেষণা
হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হল তার স্মৃতি। স্মৃতিশক্তির দিক থেকে হাতি
মানুষের চেয়ে অনেক এগিয়ে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে হাতি যে কোনও মানুষকে দীর্ঘ
সময় মনে রাখতে পারে। বহু বছর পরেও সে মানুষকে মনে রাখতে পারে। এই ক্ষমতার কারণে, হাতি সহজেই বিপদ বুঝতে পারে।
PM Kisan new rules: নিয়মে আসতে চলেছে বড় বদল, প্রধানমন্ত্রী কিষাণের টাকা পেতে করুন এই দুই কাজ
৫) কুকুর ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে
কুকুরের ঘ্রাণশক্তি নিয়ে কোনও প্রশ্ন
থাকতেই পারে না। প্রখর ঘ্রাণশক্তির কারণে কুকুরকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজেও
ব্যবহার করা হয়।কুকুরের এই বিশেষত্ব তাদের 'ক্যান্সার' চিনতে সক্ষম করে। বিজ্ঞানীদের একটি রিপোর্ট অনুসারে, কুকুর এই বিষয়ে ৯৮% সঠিক প্রমাণ করেছে।
৬) পিঁপড়ে জম্বি হয়ে যায়
আপনি নিশ্চয়ই বলিউড এবং হলিউড
মুভিতে সংক্রমণের কারণে মানুষকে জম্বি হতে দেখেছেন। কিন্তু বাস্তব জীবনে এমনটা
পিঁপড়ের সঙ্গেও ঘটে। তবে এটি সংক্রমণের কারণে নয়, পিঁপড়েরা জম্বি হয় বিশেষ ধরনের ছত্রাকের কারণে। এই জম্বি পিঁপড়েরা বেশিদিন
বাঁচে না,
প্রবল সূর্যালোকের কারণে মারা যায়।
৭) উটপাখি ঘোড়ার থেকে দ্রুতগামী
উটপাখির দৌড়ের গতি ঘোড়ার থেকেও
বেশি। এদের পা খুব শক্ত হয়। এই পায়ের কারণেই তারা প্রতি ঘণ্টায় ৭০ কিমি বেগে ছুটতে
পারে। উটপাখির দৌড়ানোর ক্ষমতা তাদের পায়ের আঙুলে মাত্র ২টি আঙুল থাকার কারণে।
বাকি পাখিদের পায়ে ৪টি আঙুল থাকায় তাদের চলাফেরা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
8) মানুষের 'আঙুলের ছাপ', কুকুরের 'নাকের ছাপ' দ্বারা চিহ্নিতকরণ
যে কোনও ব্যক্তিকে তার আঙুলের ছাপ
দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। শুধুমাত্র আঙুলের ছাপই একজন ব্যক্তির সম্পর্কে সঠিক তথ্য
দেয়। একইভাবে, কুকুরকে তাদের 'নোজ প্রিন্ট' অর্থাৎ নাকের ছাপ দ্বারা চিহ্নিত করা যায়।
৯) প্রজাপতি বিষাক্ত ফুল চেনে
প্রজাপতিরা শুধু শুধু এক ফুল থেকে
অন্য ফুলে উড়ে বেড়ায় না। আসলে তারা সঠিক ফুল চিনে নেওয়ার জন্যই এমনটা করে।
প্রজাপতিরা পা দিয়ে বুঝতে পারে কোন ফুলটি বিষাক্ত এবং কোনটি নয়।